Archive

Category Archives for "Islamic Quote"

আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) এর উক্তি

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) এর উক্তি ও বানী। আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।

আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) এর বানী

 

★যে ব্যক্তি ধৈর্যধারণ করতে পারবে, সে কখনো সফলতা থেকে বঞ্চিত হবেনা। হয়তবা সফল হবার জন্য তার একটু বেশি সময় লাগতে পারে।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★সবচেয়ে সুখী ব্যক্তিই সেই যাকে আল্লাহ তা’আলা একজন পূণ্যবতী স্ত্রী দান করেছেন।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★যেসব পাপকাজ তোমরা গোপনে করে থাকো সেগুলোকে ভয় করো, কেননা সেসব পাপের সাক্ষী বিচারক স্বয়ং নিজেই।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★ অতিরিক্ত সমালোচনা করবেন না। অতিরিক্ত সমালোচনা ঘৃণা এবং খারাপ চরিত্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★কারো অধঃপতনে আনন্দ প্রকাশ করো না, কেননা ভবিষ্যত তোমার জন্য কী প্রস্তুত করে রেখেছে সে সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞানই নেই।-আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★সেই ব্যক্তিই সবচেয়ে জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান যিনি পরম করুণাময় আল্লাহর দয়ার ব্যাপারে আশা ও আত্মবিশ্বাস না হারানোর জন্য মানুষকে উপদেশ দেন।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★আপনার দ্বারা নেক কাজ সাধিত হলে আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করুন, এবং যখন অসফল হবেন তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★আপনার গর্বকে ছুঁড়ে ফেলুন, দাম্ভিকতাকে দমিয়ে দিন আর আপনার কবরকে স্মরণ করুন।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★হৃদয় থাকা সকল মানুষের বোধ থাকে না, কান থাকা সকল মানুষই শুনতে পায় না, চোখ থাকা সকল মানুষই দেখতে পায় না।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★কল্যাণপ্রাপ্ত তো সেই ব্যক্তি যার নিজের পাপসমূহ তাকে অন্যদের পাপের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ থেকে বিরত রাখে।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★জ্ঞানের মত সম্পদ আর নেই, অজ্ঞতার মতন দারিদ্র আর নেই। – আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★ ফুলের মতন হও, যে তাকে দলিত করে তাকেও সে সুগন্ধ বিলায়। – আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★মানুষের সাথে তাদের বুদ্ধি পরিমাণ কথা বলো।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★ যে নিজে সতর্কতা অবলম্বন করে না, দেহরক্ষী তাকে বাঁচাতে পারে না। – আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★তোমার যা ভাললাগে তাই জগৎকে দান কর, বিনিময়ে তুমিও অনেক ভালো জিনিস লাভ করবে।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না, তা অন্যকে উপদেশ দিও না।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★অযাচিত দানই দান, চাহিলে অনেক সময় চক্ষুলজ্জায় লোকে দান করে, কিন্তু তা দান নহে। – আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★আত্মীয়ত্যাগী ধনী অপেক্ষা আত্মীয়বত্সল গরিব ভালো।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★বুদ্ধিমানেরা কোনো কিছু প্রথমে অন্তর দিয়ে অনুভব করে, তারপর সে সম্বন্ধে মন্তব্য করে। আর নির্বোধেরা প্রথমেই মন্তব্য করে বসে এবং পরে চিন্তা করে।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★যৌবনের অপচয়কৃত সময়ের ক্ষতি অবশ্যই পূরন করতে হবে, যদি তুমি সন্তোষজনক সমাপ্তি অনুসদ্ধান করো।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★নিজের মহানুভবতার কথা গোপন রাখো, আর তোমার প্রতি অন্যের মহানুভবতার কথা প্রচার করো।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

★বুদ্ধিমানেরা বিনয়ের দ্বারা সম্মান অর্জন করে, আর বোকারা ঔদ্ধত্যের দ্বারা অপদস্ত হয়।- আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)

 

উপরে আপনাদের জন্য কিছু জনপ্রিয় আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) এর উক্তি শেয়ার করলাম। সামনে অন্য কোনো বিষয়ে উক্তি শেয়ার করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ

আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রাহিমাহুল্লাহ) এর উক্তি

★আমি তিরিশ বছর ব্যয় করেছি আদব শিখতে এবং বিশ বছর ব্যয় করেছি জ্ঞানার্জনে।- আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রাহিমাহুল্লাহ)

 

★কোন ব্যক্তি যতক্ষণ জ্ঞানার্জনের পথে থাকে ততক্ষণ সে জ্ঞানী, যখনই সে নিজেকে আলেম বলে মনে করে তখনই সে জাহেল হয়ে যায়।- আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রাহিমাহুল্লাহ)

 

★আমাদের অন্তরগুলো যদি শুদ্ধ হতো, তাহলে আল্লাহর স্মরণে (যিকিরে) কখনো আমরা ক্লান্তিবোধ করতাম না।-আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রাহিমাহুল্লাহ)

 

★ ততক্ষণ পর্যন্ত যেকোন জ্ঞানের মাধ্যমে কেউ উন্নত হতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সুন্দর আচরণের মাধ্যমে সে তার জ্ঞানকে সৌন্দর্যময় করে।- আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রাহিমাহুল্লাহ)

 

★আমি সিরিয়াতে একটি কলম ধার নিয়েছিলাম এবং কলমটি যার তাকে ফেরত দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। যখন আমি মারভেতে (ইরানে অবস্থিত) এসে পড়েছিলাম, তখন খেয়াল করলাম কলমটি আমার সাথেই রয়ে গেছে। তাই আমি সিরিয়ায় ফিরে গিয়ে যার কলম তাকে ফেরত দিয়েছিলাম।- আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রাহিমাহুল্লাহ)

 

★আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে জ্ঞানার্জন করার চেয়ে উত্তম আর কিছু নেই। এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য জ্ঞানার্জন করলে তিনি যেমন ঘৃণা করেন তা অন্য কিছুতে করেন না।- আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রাহিমাহুল্লাহ)

★যদি কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের মাঝে এমন কিছু দেখে যা সে অপছন্দ করে, সে​ গোপনে ​ভাইটিকে নির্দেশনা দিবে এবং​ একান্তেই ​তাকে নিষেধ করবে। অন্যদিকে, তার কারণে সে পুরষ্কৃত হবে ভাইয়ের দোষ লুকিয়ে রাখার জন্য এবং মন্দ কাজ থেকে তাকে নিষেধ করার জন্য। কিন্তু এখনকার দিনে, যখন কোন ব্যক্তি তার ভাইকে এমন কিছু করতে দেখে যা সে অপছন্দ করে, সে তাকে রাগিয়ে দেয় এবং তার দোষ প্রকাশ করে দেয়।-আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রাহিমাহুল্লাহ)

 

★কাপড়ের উপরে কালি হলো আলেমদের জন্য সুগন্ধির ন্যায়।- আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রাহিমাহুল্লাহ)

Download full app from the link given below : https://play.google.com/store/apps/details?id=com.arefin.bani

 

ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর উক্তি

ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর উক্তি – প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর উক্তি ও বানী। আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।

ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর  বানী

★তাহাজ্জুদের সময়ে করা দু’আ হলো এমন একটি তীরের মতন যা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় না।- ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)

 

★দায়িত্ব বেড়ে যাবার আগেই তোমার ইবাদাতের পরিমাণ বাড়িয়ে দাও। কেননা একদিন এমন সময় আসবে যখন যথেষ্ট ইবাদাত করার মতন সময় পাবে না।- ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)

 

★তোমরা কি দেখ না সিংহ কেমন নিশ্চুপ হয়ে থাকে তবু সবাই তাকে ভয় করে, কুকুর তো সবসময় ঘেউ ঘেউ করে এবং সবাই তাকে ঘৃণা করে।- ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)

 

★আল্লাহকে যারা ভালোবাসেনা, তাদেরকে ভালোবাসবেন না। তারা যদি আল্লাহকে ছেড়ে থাকতে পারে, তারা আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে।-ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)

 

★যেকথা ভেবে আমার অন্তর প্রশান্ত হয় তা হলো আমার জন্য যা নির্ধারিত আছে তা কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে না এবং যা কিছু আমার পাওয়া হয়না তা কখনো আমার জন্য নির্ধারিত ছিলো না।- ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)

 

আরো দেখুন

 

★যে ব্যক্তি দাবী করে যে, সে এই দুনিয়া ও তার স্রষ্টাকে একই সাথে ভালবাসে সে আসলে মিথ্যা কথা বলে।- ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)

 

★যে আপনার জন্য অন্যদের নামে গীবত করে, সে আপনার নামেও অন্যদের কাছে গীবত করবে।- ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)

 

★যাকে আল্লাহভীতি দান করে সম্মানিত করা হয়নি তার আর কোনো সম্মানই নেই।-ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)

 

★হাজার জন জ্ঞানীর সাথে যুক্তিতর্কে হয়তো আমি জিতে যাব, কিন্তু একজন মূর্খের সাথে আমি কখনোই পেরে উঠবো না।- ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)

 

★কিছু মানুষ পৃথিবী থেকে চলে গেছেন কিন্তু তাদের চরিত্র তাদের আজো বাঁচিয়ে রেখেছে, আর কিছু মানুষ বেঁচে আছে কিন্তু তাদের চরিত্র তাদেরকে মেরে ফেলেছে।- ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)

 

উপরে আপনাদের জন্য কিছু জনপ্রিয় ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর উক্তি শেয়ার করলাম। সামনে অন্য কোনো বিষয়ে উক্তি শেয়ার করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ

Download full app from the link given below : https://play.google.com/store/apps/details?id=com.arefin.bani

কুরআনের ১০০ টি উপদেশ বাণী 

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো কুরআনের ১০০ টি উপদেশ বাণী । আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।

 

কুরআনের ১০০ টি উপদেশ বাণী 

কোরআনের ১০০ উপদেশ

 

 

১। তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না। (সূরা বাকারা ২:৪২)

 

২। সৎকার্য নিজে সম্পাদন করার পর অন্যদের করতে বলো। (সূরা বাকারা ২:৪৪)

 

৩। পৃথিবীতে বিবাদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না। (সূরা বাকারা ২:৬০)

 

৪। কারো মসজিদ যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করো না। (সূরা বাকারা ২:১১৪)

 

৫। কারো অন্ধানুসরণ করো না। (সূরা বাকারা ২:১৭০)

 

৬। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না। [সূরা বাকারা ২:১৭৭]

 

৭। দ্বিনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। (সূরা বাকারা ২:২৫৬)

 

৮। যারা তোমাদের সঙ্গে লড়াই করবে, শুধু তাদের সঙ্গে তোমরা লড়াই করো। (সূরা বাকারা ২:১৯০)

 

৯। লড়াইয়ের বিধি মেনে চলো। [সূরা বাকারা ২:১৯১]

 

১০। অনাথদের রক্ষণাবেক্ষণ করো। [সূরা বাকারা ২:২২০]

 

১১। রজঃস্রাব কালে যৌনসঙ্গম করো না। [সূরা বাকারা ২:২২২]

 

১২। শিশুকে পূর্ণ দুই বছর দুগ্ধপান করাও। [সূরা বাকারা ২:২৩৩]

 

১৩। সৎগুণ দেখে শাসক নির্বাচন করো। (সূরা বাকারা ২:২৪৭)

 

১৪। ঘুসে লিপ্ত হয়ো না। (সূরা বাকারা ২:১৮৮)

 

১৫। প্রতিদান কামনা করে দাতব্য বিনষ্ট করো না। [সূরা বাকারা ২:২৬৪]

 

১৬। প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা করো। [সূরা বাকারা ২:২৭৩]

 

১৭। সুদ ভক্ষণ করো না। [সূরা বাকারা ২:২৭৫]

 

১৮। যদি ঋণীঅভাবগ্রস্তহয়তবে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও। [সূরা বাকারা ২:২৮০]

 

১৯। ঋণের বিষয় লিখে রাখো। [সূরা বাকারা ২:২৮২]

 

২০। আমানত রক্ষা করো। [সূরা বাকারা ২:২৮৩]

 

২১। গোপন তত্ত্ব অনুসন্ধান করো না এবং পরনিন্দা করো না। (সূরা বাকারা ২:২৮৩)

 

২২। সমস্ত নবির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো। [সূরা বাকারা ২:২৮৫]

 

২৩। সাধ্যের বাইরে কারো উপর বোঝা চাপিয়ে দিও না। [সূরা বাকারা ২:২৮৬]

 

২৪। তোমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না। [সূরা আল-ইমরান ৩:১০৩]

 

২৫। ক্রোধ সংবরণ করো। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৩৪]

 

২৬। রূঢ় ভাষা ব্যবহার করো না। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৫৯]

 

২৭। এই বিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করো। (সূরা আল-ইমরান ৩:১৯১)

 

 

 

 

২৮। পুরুষ ও নারী উভয়ই তাদের কৃতকর্মের সমান প্রতিদান পাবে। (সূরা আল-ইমরান ৩:১৯৫)

 

২৯। মৃতের সম্পদ তার পরিবারের সদস্যসের মাঝে বন্টন করতে হবে। [সূরা নিসা ৪:৭]

 

৩০। উত্তরাধিকারের অধিকার নারীদেরও আছে। [সূরা নিসা ৪:৭]

 

৩১। অনাথদের সম্পদ আত্মসাৎ করো না। [সূরা নিসা ৪১০]

 

৩২। যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক তাদের বিবাহ করো না। [সূরা নিসা ৪:২৩]

 

৩৩। অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভক্ষণ করো না। [সূরা নিসা ৪:২৯]

 

৩৪। পরিবারের উপর কর্তৃত্ব চালাবে পুরুষ। [সূরা নিসা ৪:৩৪]

 

৩৫। অন্যদের জন্য সদাচারী হও। [সূরা নিসা ৪:৩৬]

 

৩৬। কার্পণ্য করো না। [সূরা নিসা ৪:৩৭]

 

৩৭। বিদ্বেষী হয়ো না। [সূরা নিসা ৪:৫৪]

 

৩৮। মানুষের সাথে ন্যায়বিচার করো। [সূরা নিসা ৪:৫৮]

 

৩৯। একে অপরকে হত্যা করো না। [সূরা নিসা ৪:৯২]

 

৪০। বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষ নিয়ে বিতর্ক করো না। [সূরা নিসা ৪:১০৫]

 

৪১। ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকো। [সূরা নিসা ৪:১৩৫]

 

৪২। সৎকার্যে পরস্পরকে সহযোগিতা করো। [সূরা মায়িদা ৫:২]

 

৪৩। সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। [সূরা মায়িদা ৫:২]

 

৪৪। মৃত পশু, রক্ত ও শূয়োরের মাংসা নিষিদ্ধ। [সূরা মায়িদা ৫:৩]

 

৪৫। সৎপরায়ণ হও। [সূরা মায়িদা ৫:৮]

 

৪৬। অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও। [সূরা মায়িদা ৫:৩৮]

 

৪৭। পাপ ও অবৈধ জিনিসের বিরুদ্ধে শ্রম ব্যয় করো। [সূরা মায়িদা ৫:৬৩]

 

৪৮। মাদক দ্রব্য ও আলকোহল বর্জন করো। [সূরা মায়িদা ৫:৯০]

 

৪৯। জুয়া খেলো না। [সূরা মায়িদা ৫:৯০]

 

৫০। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাস্যদের গালমন্দ করো না। [সূরা মায়িদা ৫:১০৮]

 

৫১। আধিক্য সত্যের মানদণ্ড নয়। [সূরা আন’আম ৬:১১৬]

 

৫২। মানুষকে প্রতারণা দেওয়ার জন্য ওজনে কম দিও না। [সূরা আন’আম ৬:১৫২]

 

৫৩। অহংকার করো না। [সূরা আ’রাফ ৭:১৩]

 

৫৪। পানাহার করো, কিন্তু অপচয় করো না। [সূরা আ’রাফ ৭:৩১]

 

৫৫। সালাতে উত্তম পোশাক পরিধান করো। [সূরা আ’রাফ ৭:৩১]

 

৫৬। অন্যদের ত্রুটিবিচ্যুতি ক্ষমা করো। [সূরা আ’রাফ ৭:১৯৯]

 

৫৭। যুদ্ধে পশ্চাদ্‌মুখী হয়ো না। [সূরা আনফাল ৮:১৫]

 

৫৮। লোভ-লালসা থেকে সুরক্ষিত থেকো। [সূরা তাগাবুন ৬৪:১৬]

 

৫৯। পবিত্র থেকো। [সূরা তওবা ৯:১০৮]

 

৬০। আল্লাহ্‌ তাআলার অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না। [সূরা ইউসুফ ১২:৮৭]

 

৬১। যারা অজ্ঞতাবশত ভুলত্রুটি করে আল্লাহ্‌ তাআলা তাদেরকে ক্ষমা করবেন। [সূরা নাহ্‌ল ১৬:১১৯]

 

৬২। প্রজ্ঞা ও উত্তম নির্দেশনা দ্বারা আল্লাহ্‌ তাআলার প্রতি আহ্বাব করা উচিত। [সূরা নাহ্‌ল ১৬:১১৯]

 

৬৩। কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না। [সূরা ইসরা ১৭:১৫]

 

৬৪। পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো। [সূরা ইসরা ১৭:২৩]

 

৬৫। পিতামাতাকে অশ্রদ্ধা করে কোনো কথা বলো না। [সূরা ইসরা ১৭:২৩]

 

৬৬। অর্থ অপচয় করো না। [সূরা ইসরা ১৭:২৯]

 

৬৭। দারিদ্রের আশঙ্কায় সন্তানসন্ততিকে হত্যা করো না। [সূরা ইসরা ১৭:৩১]

 

৬৮। অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ো না। [সূরা ইসরা ১৭:৩২]

 

৬৯। যে বিষয়ে জ্ঞান নেই তার অনুবর্তী হয়ো না। [সূরা ইসরা ১৭:৩৬]

 

৭০। শান্তভাবে কথা বলো। [সূরা ত্বা-হা ২০:৪৪]

 

৭১। অনর্থ জিনিস থেকে দূরে থেকো। [সূরা মু’মিনুন ২৩:৩]

 

৭২। অনুমতি ছাড়া কারো গৃহে প্রবেশ করো না। [সূরা নূর ২৪:২৭]

 

৭৩। যারা শুধু আল্লাহ্‌ তাআলার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন তিনি তাদেরকে নিরাপত্তা দেন। [সূরা নূর ২৪:৫৫]

 

৭৪। বিনা অনুমতিতে পিতামাতার ব্যক্তিগত ঘরে প্রবেশ করো না। [সূরা নূর ২৪:৫৮]

 

৭৫। বিনয় সহকারে ভূপৃষ্ঠে বিচরণ করো। [সূরা ফুরকান ২৫:৬৩]

 

মাকে নিয়ে ইসলামিক উক্তি

 

৭৬। এই পৃথিবীতে তুমি তোমার অংশকে উপেক্ষা করো না। [সূরা কাসাস ২৮:৭৭]

 

৭৭। আল্লাহ্‌র সাথে অন্য কোনো বাতিল উপাস্যকে ডেকো না। [সূরা কাসাস ২৮:৮৮]

 

৭৮। সমকামিতায় লিপ্ত হয়ো না। [সূরা আন্‌কাবুত ২৯:২৯]

 

৭৯। সৎকার্যের আদেশ করো এবং অসৎকার্য হতে নিষেধ করো। [সূরা লোকমান ৩১:১৭]

 

৮০। দম্ভভরে ভুপৃষ্ঠে বিচরণ করো না। [সূরা লোকমান ৩১:১৮]

 

৮১। কণ্ঠস্বর অবনমিত রেখো। [সূরা লোকমান ৩১:১৯]

 

৮২। নারীরা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে। [সূরা আহ্‌যাব ৩৩:৩৩]

 

৮৩। আল্লাহ্‌ তাআলা যাবতীয় পাপ মোচন করে দিতে পারেন। [সূরা যুমার ৩৯:৫৩]

 

৮৪। অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানের প্রতি উৎসাহ প্রদান করো। [সূরা মা’ঊন ১০৭:৩]

 

৮৫। ভালো দ্বারা মন্দ প্রতিহত করো। [সূরা হা-মিম সাজদা ৪১:৩৪]

 

৮৬। যেকোনো বিষয়ে পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নাও। [সূরা শূরা ৪২:৩৮]

 

৮৭। মানুষের সাথে মানিয়ে চলার চেষ্টা করো। [সূরা হুজরাত ৪৯:৯]

 

৮৮। কাউকে পরিহাস করো না। [সূরা হুজরাত ৪৯:১১]

 

৮৯। সন্দেহ থেকে বিরত থেকো। [সূরা হুজরাত ৪৯:১২]

 

৯০। পরনিন্দা করো না। [সূরা হুজরাত ৪৯:১২]

 

৯১। সবচেয়ে আল্লাহ্‌ভীরু ব্যক্তি সবচেয়ে সম্মাননীয়। [সূরা হুজরাত ৪৯:১৩]

 

৯২। অতিথির সম্মান করো। [সূরা যারিয়াত ৫১:২৬]

 

৯৩। দাতব্যকার্যে অর্থ ব্যয় করো। [সূরা হাদিদ ৫৭:৭]

 

৯৪। দ্বিনের মধ্যে বৈরাগ্যের কোনো স্থান নেই। [সূরা হাদিদ ৫৭:২৭]

 

৯৫। জ্ঞানীজনকে আল্লাহ্‌ তাআলা সুউচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করবেন। [সূরা মুজাদালাহ্‌ ৫৮:১১]

 

৯৬। অমুসলিমদের সাথে সদয় ও ন্যায় আচরণ করো। [সূরা মুমতাহিনাহ্‌ ৬০:৮]

 

৯৭। যারা নিরাপত্তা কামনা করছে তাদের সহযোগিতা করো ও নিরাপত্তা দাও। [সূরা তওবা ৯:৬]

 

৯৮। আল্লাহ্‌ তাআলার নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করো। তিনি মহাক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু। [সূরা মুযযাম্মিল ৭৩:২০]

 

৯৯। ভিক্ষুককে ধমক দিও না। [সূরা যুহা ৯৩:১০]

 

১০০। আল্লাহ্‌ তাআলার অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না। [সূরা যুমার ৩৯:৫৩]

 

Bangla islamic Blog

সাইয়েদ কুতুব এর উক্তি

সাইয়েদ কুতুব এর উক্তি – প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো সাইয়েদ কুতুব এর উক্তি ও বানী। আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।

সাইয়েদ কুতুব এর বানী

০১/ যে সমাজে মানবীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতার প্রাধান্য থাকে সে সমাজই সভ্য সমাজ।- সাইয়েদ কুতুব (রহিমাহুল্লাহ)

০২/ আমার কাছে এটা কোন বিষয় নয় যে, আমি কোথায় মরতে যাচ্ছি এবং কিভাবে যালিমরা আমার মৃত্যুদন্ড দেবে। আমিতো এতেই সন্তুষ্ট যে, আমি আল্লাহর একজন অনুগত বান্দা হিসাবে শাহাদতের পেয়ালা পান করতে যাচ্ছি।সাইয়েদ কুতুব (রহিমাহুল্লাহ)

০৩/ কোরআনের ছায়াতলে জীবন অতিবাহিত করতে পারাটা এক বিশাল অনুগ্রহ। এ ব্যাপারটি কেবল তাদের দ্বারাই উপলব্ধি করা সম্ভব যারা এর অভিজ্ঞতা লাভ করতে পেরেছে। এ এক এমন সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা যা জীবনকে উদ্দেশ্যমন্ডিত করে এবং তাকে বাঁচার উপযোগী করে তোলে।- সাইয়েদ কুতুব (রহিমাহুল্লাহ)

০৪/ মতপার্থক্য কখনো বিতর্ক উস্কে দেয় না। অহং-ই (ইগো) মূলত কোন মতবাদে বিশ্বাসী এমন প্রত্যেকেকে বিতর্ক চালিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করে যখন তার সামনে পরিস্কার হয়ে যায়, সত্য তার মতবাদে নিহিত নয়। আসলে, সে যখন দাঁড়িপাল্লায় নিজের অহং আর সত্যকে স্থাপন করে শুরুতেই নিজের অহং-এর (ইগো) পাল্লায় ভার বেশী দিয়ে দেয়। – সাইয়েদ কুতুব (রহিমাহুল্লাহ)

০৫/ মু’মিন প্রকৃতপক্ষেই শ্রেষ্ঠ। কারণ তারা যেমন শ্রেষ্ঠ, তেমনি শ্রেষ্ঠ তাঁর আকীদা-বিশ্বাসের উৎস। বিশাল সাম্রাজ্য তার দৃষ্টিতে নগণ্য মাত্র। বিপুল শক্তির অধিকারী ব্যক্তিবর্গ তার নিকট তুচ্ছ। সমাজে প্রচলিত জনপ্রিয় সংখ্যক মানুষকে কোন বিষয় পছন্দ করতে দেখেই মু’মিন সে বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায় না।- সাইয়েদ কুতুব (রহিমাহুল্লাহ)

০৬/ মানবজাতির নেতৃত্ব দানের জন্যে আমাদের বৈষয়িক উন্নতি ছাড়া ও ছাড়া আরো অতিরিক্ত কিছু পেশ করতে হবে। আর তা হচ্ছে মানব জীবন সম্পর্কে মৌলিক বিশ্বাস (ঈমান) এবং সে বিশ্বাসের ভিত্তিতে রচিত জীবন বিধান।- সাইয়েদ কুতুব (রহিমাহুল্লাহ)

০৭/ আল্লাহর সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহাত্মক আচরণই হচ্ছে জাহিলিয়াতের প্রমাণ।- সাইয়েদ কুতুব (রহিমাহুল্লাহ)

০৮/ আমাদের ঈমানের উৎস হচ্ছে কুরআনের মৌলিক শিক্ষা।- সাইয়েদ কুতুব (রহিমাহুল্লাহ)

উপরে আপনাদের জন্য কিছু জনপ্রিয় সাইয়েদ কুতুব এর উক্তি ও বানী  শেয়ার করলাম। সামনে অন্য কোনো বিষয়ে উক্তি শেয়ার করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ

Download full app from the link given below : https://play.google.com/store/apps/details?id=com.arefin.bani

হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ) এর উক্তি

০১/ এই দুনিয়াতে কল্যাণময় হচ্ছে জ্ঞানার্জন ও আল্লাহর ইবাদাত করা এবং আখিরাতে কল্যাণময় হচ্ছে জান্নাত।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

০২/ যেসব মানুষ তার সৃষ্টিকর্তার উপরে সন্তুষ্ট হয়নি যদিও তিনি তাদের সবকিছুর দাতা, তারা কীভাবে তাদের মত অন্য একজন সৃষ্টির উপরে সন্তুষ্ট হতে পারে?- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

০৩/ আপনি আসলে কতগুলো দিনের সমষ্টি ছাড়া আর কিছুই না। যখন একটি দিন পার হয়ে যায়, আপনার একটি অংশ ক্ষয় হয়ে যায়।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

০৪/মুমিন মুমিনের অংশ। সে তার ভাইয়ের জন্য আয়না স্বরূপ; সে তার ভাইয়ের মধ্যে অপছন্দনীয় কিছু দেখলে তাকে সংশোধন ও ঠিক-ঠাক করে দেবে এবং গোপনে ও প্রকাশ্যে তার কল্যাণ কামনা করবে।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

০৫/ দুনিয়ার জীবনের তুচ্ছ আর ক্ষণস্থায়ী ভোগবিলাস ও আনন্দগুলো যেন আপনাকে মোহগ্রস্ত ও বিভ্রান্ত করতে না পারে এবং সবসময় আগামীকালের কথা বলতে থাকবেন না, কেননা আপনি জানেন না যে কখন আপনাকে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যেতে হবে।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

০৬/ আমরা হাসি-ঠাট্টা করি, কিন্তু কে জানে– হয়তো আল্লাহ আমাদের কিছু কাজকর্ম দেখে বলছেন: আমি তোমাদের কাছ থেকে কোনো আমলই গ্রহণ করব না।-আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

০৭/ পৃথিবীর জীবনটা তিনটি দিনের– গতকালের দিনটিতে যা করা হয়েছে সেগুলো নিয়ে সেটি চলে গেছে; আগামীকালের দিনটিতে হয়ত আপনি না-ও পৌছতে পারেন; কিন্তু আজকের দিনটি আপনার জন্য সুতরাং যা করার আজই করে নিন।-আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

০৮/ আমি সেসব মানুষদের (সালাফদের) দেখেছিলাম তারা তাদের দিরহাম ও দিনারের (অর্থাৎ, তাদের টাকার) চেয়ে সময়ের প্রতি অনেক বেশি যত্নবান ছিলেন।-আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

০৯/ নিকৃষ্ট তো সেই মৃতব্যক্তির পরিবারের মানুষগুলো, যারা মৃত মানুষটির জন্য কান্নাকাটি করে অথচ তার রেখে যাওয়া ঋণ পরিশোধ করে না।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

১০/ কম বয়সে কোন কিছু শেখার প্রভাব অনেকটা পাথরের উপরে খোদাই করে লেখার মতন।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

১১/ হে আদমের সন্তানেরা! পৃথিবীর মাটির উপরে যতক্ষণ ইচ্ছা করে হেঁটে নাও কেননা খুব শীঘ্রই সেটা তোমার কবরে পরিণত হয়ে যাবে। মায়ের গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকে তো তোমার জীবনের আয়ু কমে যাওয়াকে তুমি ঠেকিয়ে রাখতে পারনি।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

১২/ বুদ্ধিমান ব্যক্তির জিহবা তার হৃদয়ের পেছনে থাকেঃ সে যখন কথা বলতে চায়, প্রথমে সে চিন্তা করে। যদি শব্দগুলো তার জন্য কল্যাণকর হয় তাহলে সে তা বলে। আর যদি কথাগুলো তার জন্য অকল্যাণকর হয় তাহলে সে চুপ থাকে।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

১৩/ একজন মূর্খ ব্যক্তির জিহবা তার হৃদয়ের সামনে থাকেঃ সে কথা বলার সময় খুব কমই চিন্তা করে এবং তার জন্য কল্যাণকর বা অকল্যাণকর যা-ই হোক সে বলে ফেলে।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

১৪/ তোমাদর আগে পৃথিবীতে যারা ছিলেন তারা মনে করতেন মৃত্যু তাদের সন্নিকটে। তাদের একেকজন পবিত্রতা অর্জনের জন্য পানি সংগ্রহ করে নিতেন, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতেন এবং তারপর ওযু করতেন আল্লাহর নির্দেশের (মৃত্যু) ভয়ে যেন তা এমন অবস্থায় না আসে যখন তিনি পবিত্র অবস্থায় নেই।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

১৫/সালাফগণ রাতে সলাতে দাঁড়িয়ে কুরআন তিলাওয়াত করতেন এবং দিনের বেলা কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী আমল করতেন।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

১৬/আল্লাহর যিকরে, সলাতে এবং কুরআন তিলাওয়াতে যে ব্যক্তি সুখ খুঁজে পায় না, সে অন্য কোথাও তা খুঁজে পাবে না।-আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

১৭/পারস্পরিক হাত মেলানো (করমর্দন) বন্ধুত্ব বাড়ায়।-আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

১৮/  একজন মু’মিনের যত গুণাবলী রয়েছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো ক্ষমাশীলতা।-আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

১৯/ মন্দের মূল তিনটি এবং শাখা ছয়টি। মূল তিনটি হলো — ১) হিংসা-বিদ্বেষ, ২) লোভ-লালসা এবং ৩) দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা। আর শাখা ছয়টি হলো — ১) নিদ্রা, ২) পেট ভরে খাওয়া, ৩) আরাম-আয়েশ, ৪) নেতৃত্ব, ৫) প্রশংসা পাওয়া ও ৬) গর্ব-অহংকারের প্রতি আকর্ষণ ও ভালোবাসা।-আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

২০/ আমি এমন মানুষদের (সাহাবা) সান্নিধ্য অর্জন করেছিলাম যারা তাদের কোন সৎকাজকে ছেড়ে দেয়া যতটা ভয় করতেন তা তোমরা তোমাদের পাপকাজের পরিণামকে যতটুকু ভয় কর তার চাইতেও বেশি।-আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

২১/ দুনিয়ার জীবনকে আখিরাতের জন্য বিক্রি করলে আপনি দুই জীবনেই জয়ী হবেন। আখিরাতের জীবনকে দুনিয়ার জন্য বিক্রি করলে আপনি দুই জীবনেই পরাজিত হবেন।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

Download full app from the link given below : https://play.google.com/store/apps/details?id=com.arefin.bani

তারিক রামাদান এর উক্তি

তারিক রামাদান (আরবি: طارق رمضان‎‎; জন্ম: ২৬শে অগাস্ট, ১৯৬২) একজন সুইস শিক্ষাবিদ, বুদ্ধজীবী এবং লেখক। তারিক রামাদান ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসের টাইম ম্যাগাজিনের জরীপ অনুযায়ী একুশ শতকে পৃথিবীর সেরা ১০০ জন বিজ্ঞানী এবং চিন্তাবিদদের মধ্যে অন্যতম। তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অফ অরিয়েন্টাল স্টাডিস এর কন্টেমপরারি ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের অধ্যাপক। এছাড়াও তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব বিভাগে অধ্যাপনা করেন। তিনি কাতার বিশ্ববিদ্যালয় এবং মালোয়েশিয়া পেরিলস বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের ভিসিটিং প্রফেসর। তিনি জাপানের দোশিশা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো এবং কাতারে অবস্থিত রিসার্চ সেন্টার অফ ইসলামিক লেজিসলেশন অ্যান্ড এথিক্স এর ডিরেক্টর।

তিনি চিন্তা-গবেষণা বা ইজতিহাদের মাধ্যমে মুসলিম জীবনের সমস্যাগুলোর নতুন সমাধান এর জন্য সামাজিক বিজ্ঞান এবং ইসলামি ফিকাহ শাস্ত্রের মূলনীতি বা উসূল আল ফিকহ এর একটি নতুন সেতুবন্ধন তৈরীতে একটি পূনর্গঠনমূলক সংস্কারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।[২] তিনি ত্রিশটির বেশি বই লিখেছেন এবং সারা পৃথিবীর অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা করেছেন। – সূত্র – উইকিপিডিয়া

তারিক রামাদান সেরা ১০ টি উক্তি

০১/ হৃদয় আপনার বিনয়ের কেন্দ্র, মন হতে পারে আপনার দাম্ভিকতার উৎস।- তারিক রামাদান

০২/ আধ্যাত্মিকতা অর্জনের ব্যাপারটাই হলো নিজের নফসের সাথে ক্রমাগত জিহাদ করা।- তারিক রামাদান

০৩/ ইসলামে কোন সংস্কারের প্রয়োজন নেই। সংস্কার প্রয়োজন আমাদের মুসলিমদের মন-মানসিকতায়। – তারিক রামাদান

০৪/ মুসলিম হিসেবে গর্বিত হওয়াটা কোন স্ট্যাম্প নয় যা আপনার বুকের উপরে লাগানো থাকে, বরং এমন একটি আলো যা আপনার অন্তরকে আলোকিত করে রাখে।- তারিক রামাদান

০৫/ একটা কথা প্রচলিত আছে, যা রটে তার কিছু তো বটে। এটি একটি বাস্তব সত্য। কিন্তু একজন লোকের খুঁজে দেখা উচিত যে রটনার ঘটনাটাতে কী ঘটেছে এবং কে সেটা ঘটিয়েছে।-তারিক রামাদান

০৬/ ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম। সুতরাং, জেগে উঠুন এবং নামাজে দাঁড়িয়ে যান। এর মাধ্যমে আপনি আপনার অহং (ইগো) থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন।- তারিক রামাদান

০৭/ মুক্তি কী তা আপনি বুঝতে পারবেন না যদি শৃংখলা কী তা বুঝতে না পারেন।- তারিক রামাদান

০৮/ আপনার পথচলা যে সত্যিই আল্লাহর দিকে তার একটি ইঙ্গিত হলো, তখন আপনি ভয়ের উর্ধে থাকবেন। এটাই চুড়ান্ত মুক্তি।-তারিক রামাদান

০৯/ আপনি আজকে যা করছেন তা হয়ত আমি পছন্দ করিনা, কিন্তু তাই বলে আমি আপনাকে ছোট করবো না। কারণ, আগামীকালের আপনি হয়ত আজকের আমার চেয়ে ভালো হবেন।-তারিক রামাদান

১০/ প্রতিবন্ধকতাগুলো আপনার ঈমানকে দৃঢ় করে এবং আপনাকে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করে।- তারিক রামাদান

তারিক রামাদান এর মূল্যবান বানী

*** সহানুভূতির ব্যাপারটা সবসময় আপনার কাছ থেকেই শুরু হয়। আপনি নিজেকে যতই ভালো করে খেয়াল করবেন এবং আপনার দুর্বলতাগুলোকে দেখতে পাবেন, অন্যদের ব্যাপারে আপনি ততই কম বিচারপ্রবণ হবেন।- তারিক রামাদান

***আমি যতই জ্ঞান অর্জন করি, আমার বিশ্বাস ততই দৃঢ় হয়। আমি যতই শিখি, আমি ততই সুন্দর করে আল্লাহর ইবাদাত করতে পারি। কারণ, প্রকৃতপক্ষে সমস্ত জ্ঞানের মহাজ্ঞানী আল্লাহ। আমি জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে যা করতে চাই তা হলো — তাঁর কাছে যাওয়া। – তারিক রামাদান

***উত্তম চরিত্র সবসময় একটি প্রশ্ন দিয়ে শুরু হয়, “আমি কাজটি কেন করছি?-তারিক রামাদান

***আপনার মনের শক্তি হলো জ্ঞান; আপনার হৃদয়ের শক্তি হলো ভালোবাসা।- তারিক রামাদান

***আপনি যদি খুব ভালো একটা জীবন পেতে চান, কখনো ভুলবেন না যে আপনি একদিন মৃত্যুবরণ করবেন। – তারিক রামাদান

***মানুষকে খুশি করা খুবই কঠিন, আল্লাহকে খুশি করা সবচেয়ে সহজ।- তারিক রামাদান

***অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত। হৃদয়ের জন্য কোন সময়ের সীমা নেই, সে তার আপন সময়টুকুই নেয়… ভালোবাসতে, ক্ষমা করতে, ভুলে যেতে।-তারিক রামাদান

***আপনার ভালো কাজগুলো আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই। আপনার করা ভালো কাজগুলো আপনার নিজেরই প্রয়োজন।- তারিক রামাদান

আশাকরি তারিক রামাদান এর উক্তি সমূহ আপনাদের জীবনের চলার পথে কাজে আসবে।

Download  full app from the link given below :

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.arefin.bani

ওমর সুলাইমান এর উক্তি

  • আমি এমন অবিবাহিতদের কথা জানি যারা বিবাহিতদের হিংসা করেন কেননা তারা মনে করেন বিয়ে যেন কোন এক রূপকথার গল্প, আবার এমন বিবাহিতদের কথা জানি যারা অবিবাহিতদের হিংসা করেন কেননা তারা এখন উপলব্ধি করছেন বিয়ে কোন রূপকথার গল্প নয়।- ওমর সুলাইমান

 

সে-ই প্রকৃত পুরুষ যে আল্লাহর জন্য কাঁদে।-ওমর সুলাইমান

  • তাদেরকেই ভালোবাসুন যাদের সাথে আখিরাতে একসাথে থাকতে চান।- ওমর সুলাইমান

 

যারা সচেতন কেবল তারাই রক্ষা পায়।- ওমর সুলাইমান

  • কোন ব্যক্তির তাকওয়া (আল্লাহভীতি) না থাকলে সে যদি বিবাহিত হয় তবুও দৃষ্টিকে সংযত করে না। তাকওয়াসম্পন্ন মানুষ যদি অবিবাহিতও থাকে, সে তার দৃষ্টিকে সংযত করে।- ওমর সুলাইমান

 

একজন সুন্দর মানুষের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সে সবসময় অন্যদের মাঝে সৌন্দর্য দেখতে পায়।- ওমর সুলাইমান

  • যখন আপনি কোন মানুষের সাথে সুন্দর ব্যবহার করবেন, সেই মানুষটি ঠিক একই রকম ব্যবহার আপনার সাথে না-ও করতে পারে। কিন্তু আপনি মন দিয়ে খেয়াল করলে দেখবেন, আল্লাহ আপনার কাছে অন্য কাউকে পাঠিয়েছেন যিনি তার চাইতেও উত্তম ব্যবহার করেন। – ওমর সুলাইমান

 

আল্লাহর কাছে অভিযোগ করা মু’মিনের কাজ, আল্লাহর নামে অভিযোগ করা শয়তানী কাজ।- ওমর সুলাইমান

  • যখন পাপকাজ করার প্রতি ইচ্ছা জাগবে, তখন নিজেকে বলুন, “জান্নাতে যা দেয়া হবে তা এর চেয়ে অনেক বেশি উত্তম এবং এই কাজটা করে আমি তা পাওয়াকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছি।- ওমর সুলাইমান

 

লোকে আপনার ব্যাপারে কী মন্তব্য করে সে বিষয়ে যদি আপনি অতিরিক্ত মনোযোগ দেন, তাহলে এর ফলে আপনি যে শুধু আত্মবিশ্বাস হারাবেন তা নয়, বরং আপনার আন্তরিকতাও হারিয়ে ফেলবেন। -ওমর সুলাইমান

  • যারা আপনাকে ঘৃণা করে তারা আপনার নামে লোকে যা বলে তা বিশ্বাস করে। যারা আপনাকে ভালোবাসে তারা আপনাকে বিশ্বাস করে।- ওমর সুলাইমান

 

Download full app from the link given below : https://play.google.com/store/apps/details?id=com.arefin.bani

ড. বিলাল ফিলিপ্স এর জনপ্রিয় উক্তি

ইসলামিক স্কলার ড. বিলাল ফিলিপ্স এর অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ হতে প্রকাশিত শিক্ষামূলক জনপ্রিয় ইসলামিক উক্তি নিম্নে আপনাদের জন্য উল্লেখ করা হলো –

ড. বিলাল ফিলিপ্স এর সেরা ১০ টি উক্তি

০১। ‘আপনার জীবনের জন্য আপনার পরিকল্পনা থেকে আল্লাহর পরিকল্পনাই উত্তম।’

 

০২। ‘এমন কারো সঙ্গী হোন যে আপনাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’

 

০৩। ‘আপনি কি মনে করছেন এমন কেউ নেই যাকে আপনার ব্যক্তিগত কথা ও দুশ্চিন্তাগুলো শেয়ার করবেন? তাহলে আপনি শ্রেষ্ঠ শ্রবণকারীর আল্লাহ্ তা’আলাকেই ভুলে গেছেন।’

 

০৪। ‘আপনি যা ই করেন না কেন এই দুনিয়ার মানুষদের সন্তুষ্ট করতে পারবেন না। তাই দুনিয়ার সকল মানুষদের খুশি করার মিথ্যা আশা ছেড়ে তাদের সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করতে চেষ্টা করুন।’

 

০৫। ‘ফর্সা আর সৌন্দর্য কখনোই এক কথা নয়। ফর্সা কেবল চামড়ার মধ্যে ফুটে উঠলেও সৌন্দর্য ফুটে উঠতে প্রয়োজন আল্লাহর আনুগত্য ও উত্তম চরিত্র।’

 

০৬।’সত্যিকার বন্ধুরাই জান্নাতে (একে অপরের) প্রতিবেশী হতে চায়।’

 

০৭। ‘আপনি যত বেশি আল্লাহর উপর ভরসা করবেন, আপনার পক্ষে ধৈর্যধারণ ততোবেশি সহজ হবে।’

 

০৮। ‘আপনার পাপগুলো আল্লাহর দয়া থেকে বড় নয়।’

 

০৯।’মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণের চেয়ে মুসলিম হিসেবে মৃত্যুবরণ করতে পারাটাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ।’

 

১০। ‘এমন কাউকে ভালোবাসা উচিত নয় যে আল্লাহকেই ভালোবাসতে জানেননা।’

আরো দেখুন –

আর্তুগুল গাজীর উক্তি

ইসলামিক উক্তি

ড. বিলাল ফিলিপ্স এর বানী

০১। ‘যে আল্লাহ্ রাতের পর দিনকে আনতে পারেন সে আল্লাহ্ অবশ্যই আপনার দুঃখের পর সুখ দিতে পারেন । তাই সর্বঅবস্থায় আল্লাহর উপর ভরসা করুন ।’

 

০২।’একমাত্র সম্পর্ক যা কখনো আপনাকে ব্যথিত করবে না তা হলো আপনার সৃষ্টিকর্তার (আল্লাহর) সাথে সম্পর্ক । তাই এটাকে মজবুত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন ।’

 

০৩। ‘আপনি যদি আপনার চারপাশটাকে ইসলামিক দেখতে চান, তাহলে এখনি নিজের মধ্যে ইসলাম প্রতিষ্ঠা শুরু করুন । অন্যথায় আপনার এই ইচ্ছা মূল্যহীন ।’

 

০৪। ‘ইসলাম কোন মানুষের সৃষ্ট ধর্ম নয়, তাই কেউ চাইলেই ইসলামকে থামিয়ে দিতে পারে না । বরং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে মানুষের জন্য আল্লাহ্ তা’আলাই মনোনীত করেছেন এবং তা আল্লাহর কাছেই ফিরে যাবে । তাই মুসলিমদের হতাশ হবার কিছু নেই ।’

 

০৫।’যদি আপনি ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ থাকেন তবে আপনি ISIS এর সহজ শিকার হতে পারেন!’

 

০৬/ ‘সবচেয়ে কষ্টসাধ্য বিষয় হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এমন কিছু বর্জন করা যা আপনি ভালোবাসেন। তবে মনে রাখবেন আল্লাহ সবসময়ই কোন কিছুর পরিবর্তে এর চেয়ে উত্তম কিছু দিয়ে থাকেন।’

 

০৭/ ‘এমন কারো সঙ্গী হোন যে আপনাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’

 

০৮/ ‘যদি কেউ আপনার প্রভুর আনুগত্য পছন্দ না করে তবে আপনারও তাকে পছন্দ করার কোন যুক্তি নেই।’

 

০৯/ ‘যখন পৃথিবীর কেউ আপনাকে বুঝতে চেষ্টা করে না, তখন এতটুকু মনে রাখুন আল্লাহ্ আপনাকে বুঝেন।’

 

১০/ ‘নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে প্রতিটা বিষয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করুন । কেননা আপনার জন্য কোনটি কল্যাণকর তা তিনিই ভালো জানেন।’

 

ড. বিলাল ফিলিপ্স এর উপদেশ

০১/ ‘যেখানে এক নিমিষেই পেছনের সকল অন্যায় থেকে পরিত্রাণ পেয়ে একটি সুন্দর আগামীর আশা করা যায় সেখানে নিরাশ হওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না । প্রয়োজন শুধু সত্যকে মেনে নেয়ার সৎসাহস।’

 

০২/ ‘যেখানে রসূলুল্লাহ্ (সা:) প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতেন, সেখানে আমরা অন্তত দুই-একবার করছিতো?’

 

০৩/ ‘যে কেউ আল্লাহর নিকট নিজেকে সমর্পণ করবে সে কিছুই হারাবে না।’

 

০৪/ ‘সত্যিকার সফল তখনই হবেন, যখন আপনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন।’

 

০৫/আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখুন । সবকিছুই কারণবশত ঘটে থাকে । একদিন আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার জীবনে যা কিছু ঘটেছে তার প্রতিটাই আপনার জন্য উত্তম ছিলো।’

 

০৬/ ‘কোন হারাম সম্পর্কের মাধ্যমে কাউকে নিজের জন্য হালাল করার দুঃসাহস কখনোই দেখাবেন না । কারণ আগামীকালের নিশ্চয়তা কেউ আপনাকে দিতে পারবে না ।’

 

০৭/ ‘আপনি যেমনিভাবে এক বিষয়ের প্রস্তুতি নিয়ে অন্য বিষয়ের পরীক্ষা দিতে পারেন না, তেমনিভাবে আপনি জাহান্নামের দিকে চলতে থেকে জান্নাতের খোঁজ পেতে পারেন না ।’

 

০৮/ ‘মানুষ আপনার ভালো কাজগুলো ভুলে গিয়ে খারাপ কাজগুলোর সমালোচনা করে, আর আল্লাহ সুবহানওয়া তা’আলা আপনার ভালো কাজগুলো গ্রহণ করে খারাপ কাজগুলো ক্ষমা করেন ।’

 

০৯/ ‘আপনি যা ই করেন না কেন এই দুনিয়ার মানুষদের সন্তুষ্ট করতে পারবেন না । তাই দুনিয়ার সকল মানুষদের খুশি করার মিথ্যা আশা ছেড়ে তাদের সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করতে চেষ্টা করুন ।’

 

১০/ ‘আপনি যদি কাউকে পছন্দ করেন তাঁর জন্য দু’আ করুন, আবার যদি কাউকে অপছন্দ করেন তার জন্যও দু’আ করুন । কারণ দু’আ সবার জন্য এবং সবকিছুই পরিবর্তন করে দিতে পারে ।’

 

 আল্লাহ সম্পর্কিত ড. বিলাল ফিলিপ্স উক্তি

 

০১/ ‘আল্লাহ্ যদি আপনাকে বেশি ভালোবাসেন, তাহলে আপনাকে একটু বেশিই পরীক্ষায় ফেলবেন । তাই ধৈর্যের সাথে আল্লাহর প্রশংসা করুন …. ।’

 

০২/ ‘আল্লাহ্ তা’আলা যদি আপনার জন্য কিছু বরাদ্দ করে রাখেন তা আপনি অবশ্যই পাবেন । সময় কিংবা পথের ভিন্নতা হতে পারে, তবে আপনার যা ছিলো তা থাকবেই । প্রয়োজন শুধু আল্লাহর উপর ভরসা ।’

 

০৩/ ‘কোন কিছু আপনার ইচ্ছানুযায়ী হচ্ছে না মানে আল্লাহ্ সুবহানহুয়া আপনাকে শুনছেন না এমনটা নয় । বরং তিনি আপনাকে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ দিয়ে যাচ্ছেন । তাই এরকম পরিস্থিতিতে সবসময় ধৈর্যধারণ করুন ।’

 

০৪/ ‘আপনি যা ভাবছেন, যা করছেন সবই এক উঁচুমানের মাধ্যমে রেকর্ড হচ্ছে এবং একদিন তা আপনার সামনেই উপস্থাপন করা হবে । তাহলে কি করে সেদিন আপনি নিজের মন্দকাজগুলোর জবাব দিবেন ? এখনি ঘুরে দাঁড়ান, আল্লাহর নিকট তাওবাহ্ করুন, এবং আল্লাহর পথে ফিরে আসুন ।’

 

০৫/ ‘আল্লাহ্ আপনার প্রতিটা চাওয়াই পূরণ করে থাকেন । আর তা সবসময় আপনার জন্য হ্যাঁ না হলেও উত্তম হয়ে থাকে ।’

 

০৬/ ‘যখন কেউ আপনার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই দূরে চলে যাবে তখন মনে রাখবেন আপনার পাশে আল্লাহ্ রয়েছেন । তাই আল্লাহর উপর ভরসা রেখে সামনে চলুন ।’

 

০৭/প্রত্যেকের অন্তরেই কিছু ব্যথা থাকে । তবে যারা আল্লাহর উপর ভরসা করে তারাই আরোগ্য লাভ করে ৷’

 

০৮/ ‘আপনি যতোই আল্লাহর আনুগত্য করবেন, আপনি ততোই সুখের সন্ধান পাবেন ৷’

 

০৯/ ‘আপনার যে কোন অর্জনে আল্লাহর প্রশংসা করুন । কারণ আল্লাহর দয়া ব্যতীত তা কখনো সম্ভব হতো না ।’

 

১০/ ‘আমরা অনেক সময় ধরে কোন মানুষকে প্রভাবিত করেও তার খুব কমই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি, অথচ আমরা এমন এক সত্তাকে (আল্লাহকে) ভুলে থাকি যে কিনা সবসময়ই আমাদের প্রতি দৃষ্টি রাখেন।’

 

উপরে আমরা ড. বিলাল ফিলিপ্স এর জনপ্রিয় উক্তি সমূহ আপনাদের জন্য উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি।আশাকরি আপনাদের কে অনেক অনুপ্রাণিত করবে।

মুসলিম মণীষীদের সেরা উক্তি

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো মুসলিম মণীষীদের উক্তি। আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।

মুসলিম মণীষীদের সেরা উক্তি

মুসলিম মণীষীদের উক্তি

 

  • পাপের কাজ করে লজ্জিত হলে পাপ কমে যায়, আর পুণ্য কাজ করে গর্ববোধ করলে পুণ্য বরবাদ হয়ে যায়। – হযরত আলী (রাঃ)

 

যে ব্যক্তি দাবী করে যে, সে এই দুনিয়া ও তার স্রষ্টাকে একই সাথে ভালবাসে সে আসলে মিথ্যা কথা বলে। – ইমাম আশ-শাফি’ঈ জ্ঞান হচ্ছে তা যা উপকার করে, তা নয় যা কেবল মুখস্ত করা হয়। – ইমাম আশ-শাফি’ঈ

 

আমি কখনই কারও সাথে বিতর্কে জয়ী হওয়ার আশায় তর্ক করিনি বরং আমি সবসময় চাইতাম যে সত্যটা তার কাছ থেকে বেরিয়ে আসুক। – ইমাম আশ-শাফি’ঈ তোমার জিহ্বা সম্পর্কে সচেতন হও, এটা বিপজ্জনক! এটা ১টা সাপের মত এবং অনেক লোকই তাদের জিহ্বার দ্বারা মারা গিয়েছে। – ইমাম আশ-শাফি’ঈ

 

নিজের প্রতি কঠোর হও, অন্যদের প্রতি হও কোমল। – ইমাম আশ-শাফি’ঈ

 

  • কর্মহীন জ্ঞান কেবলই দাম্ভিকতা। – ইমাম আশ-শাফি’ঈ

 

মুসলিম মণীষীদের উক্তি

 

একজন মু’মিনের যত গুণাবলী রয়েছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো ক্ষমাশীলতা। [আদাব শার’ইয়্যাহ, ১১/১২১]

 

দুনিয়ার জীবনকে আখিরাতের জন্য বিক্রি করলে আপনি ২ জীবনেই জয়ী হবেন। আখিরাতের জীবনকে দুনিয়ার জন্য বিক্রি করলে আপনি ২ জীবনেই পরাজিত হবেন। [আল হিলইয়াহ, ২/১৪৩]

 

  • এই দুনিয়াতে কল্যাণময় হচ্ছে জ্ঞানার্জন ও আল্লাহর ইবাদাত করা এবং আখিরাতে কল্যাণময় হচ্ছে জান্নাত। অন্তর মাঝে যেসব কুমন্ত্রণা সৃষ্টি হয় এবং দূর হয়ে যায় তা সব শয়তানের পক্ষ থেকে। এসব কুমন্ত্রণা দূর করার জন্য আল্লাহর যিকর ও কুরআন তিলাওয়াতের সাহায্য নেয়া উচিত। আর যেসব কুমন্ত্রণা স্থায়ী হয়ে যায়, বুঝতে হবে তা নফসের পক্ষ থেকে। আর তা দূর করার জন্য সলাত, সাওম এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলনের সাহায্য নেয়া উচিত। [তাবিঈদের জীবনকথা, ড. মুহাম্মদ আবদুল মাবুদ, ১/৫৬]

 

মন্দের মূল তিনটি এবং শাখা ছয়টি। মূল তিনটি হলো – ১) হিংসা-বিদ্বেষ, ২) লোভ-লালসা এবং ৩) দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা। আর শাখা ছয়টি হলো – ১) নিদ্রা, ২) পেট ভরে খাওয়া, ৩) আরাম-আয়েশ, ৪) নেতৃত্ব, ৫) প্রশংসা পাওয়া ও ৬) গর্ব-অহংকারের প্রতি আকর্ষণ ও ভালোবাসা। [তাবিঈদের জীবনকথা; ড. মুহাম্মদ আবদুল মাবুদ, ১/৫৭]

 

  • আমি এমন মানুষদের (সাহাবা) সান্নিধ্য , অর্জন করেছিলাম যারা তাদের কোন, সৎকাজকে ছেড়ে দেয়া যতটা ভয় , করতেন তা তোমরা তোমাদের পাপকাজের , পরিণামকে যতটুকু ভয় কর তার চাইতেও বেশি। এক ব্যক্তি হাসান আল বাসরীকে (রাহিমাহুল্লাহ) জিজ্ঞাসা করলো, “ইবলিশ কি কখনো ঘুমায়?” তিনি বললেন, “সে যদি ঘুমাতো, তাহলে আমরা একটু অবসর পেতাম। [ইবনে আল জাওযি; ‘তালবিসু ইবলিস’, পৃষ্ঠা ৫২]

 

সুন্দর বিদায় হলো ক্ষতি না করে বিদায় নেয়া, সুন্দর ক্ষমা হলো বকা না দিয়ে ক্ষমা করা, সুন্দর ধৈর্য্য হলো অভিযোগ না রেখে ধৈর্য্য ধারণ করা। – ইবনে তাইমিয়্যাহ

  • ১ জন মানুষের অন্তর যদি রোগগ্রস্ত না হয় তাহলে সে কোনদিন, কোন অবস্থাতেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ছাড়া অন্য কাউকে ভয় পাবে না। – ইবনে তাইমিয়্যাহ

 

যখন কোন ছেলে এবং মেয়ে মেলামেশা করে, তখন তা হয় আগুন এবং কাঠ সংস্পর্শে রাখার মতন। – ইবনে তাইমিয়্যাহ

 

  • আপনি যদি খুব ভালো ১টা জীবন পেতে চান, কখনো ভুলবেন না যে আপনি ১দিন মরে যাবেন। – তারিক রামাদান

 

আপনি আজকে যা করছেন তা হয়ত আমি পছন্দ করিনা, but তাই বলে আমি আপনাকে ছোট করবো না। কারণ, আগামীকালের আপনি আপনি হয়ত আজকের আমার চাইতে ভালো হবেন। – তারিক রামাদান

 

  • উত্তম চরিত্র সব সময় ১টি প্রশ্ন দ্বারা শুরু হয়, আমি কেন এটা করছি? – তারিক রামাদান

 

আপনি কীভাবে আল্লাহর সাথে ভাল সম্পর্ক স্থাপন করবেন, যদি আপনার মায়ের আপনার ভাল সম্পর্ক না থাকে? – তারিক রামাদান

 

  • ভণ্ডরা গুজবে বিশ্বাস করে, বিশ্বাসীরা আপনার প্রতি বিশ্বাস রাখে। – শাইখ আব্দুলবারি ইয়াহইয়া

১ জন ঘুমন্ত ব্যক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগ্রত করতে পারে না। – শেখ সাদী

 

  • সৎ কাজ অল্প বলে চিন্তা করো না, বরং অল্পটুকুই কবুল হওয়ার চিন্তা কর। – হযরত আলী (রাঃ)

 

আপনার দ্বারা নেক কাজ সাধিত হলে আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করুন এবং যখন অসফল হবেন তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। – হযরত আলী (রাঃ)

 

  • যদি কেউ আপনার ভুল শুধরে দেয়, আর আপনি ক্ষুব্ধ হন, তাহলে বুঝবেন আপনার ইগো সমস্যা আছে। – উস্তাদ নু’মান আলী খান

 

ভণ্ডরা ভাল উপদেশকে অপমান হিসেবে গ্রহণ করে। – উস্তাদ নু’মান আলী খান

 

আপনি যখন কাউকে সাহায্য করার সুযোগ পেয়ে থাকেন, তখন আনন্দিত হোন এই জন্য যে আল্লাহ ঐ ব্যক্তির দোয়ার সাড়া আপনার মাধ্যমেই দিচ্ছেন। – উস্তাদ নু’মান আলী খান

 

★★★সহসা জ্বলে উঠার মাঝেই নিভে যাওয়ার উপযুক্ত কারণ ও ভয় বিদ্যমান।-মাওলানা আবদুল হাই

 

উপরে আপনাদের জন্য কিছু জনপ্রিয় মুসলিম মণীষীদের সেরা উক্তি শেয়ার করলাম। সামনে অন্য কোনো বিষয়ে উক্তি শেয়ার করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ