হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ) এর উক্তি
০১/ এই দুনিয়াতে কল্যাণময় হচ্ছে জ্ঞানার্জন ও আল্লাহর ইবাদাত করা এবং আখিরাতে কল্যাণময় হচ্ছে জান্নাত।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
০২/ যেসব মানুষ তার সৃষ্টিকর্তার উপরে সন্তুষ্ট হয়নি যদিও তিনি তাদের সবকিছুর দাতা, তারা কীভাবে তাদের মত অন্য একজন সৃষ্টির উপরে সন্তুষ্ট হতে পারে?- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
০৩/ আপনি আসলে কতগুলো দিনের সমষ্টি ছাড়া আর কিছুই না। যখন একটি দিন পার হয়ে যায়, আপনার একটি অংশ ক্ষয় হয়ে যায়।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
০৪/মুমিন মুমিনের অংশ। সে তার ভাইয়ের জন্য আয়না স্বরূপ; সে তার ভাইয়ের মধ্যে অপছন্দনীয় কিছু দেখলে তাকে সংশোধন ও ঠিক-ঠাক করে দেবে এবং গোপনে ও প্রকাশ্যে তার কল্যাণ কামনা করবে।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
০৫/ দুনিয়ার জীবনের তুচ্ছ আর ক্ষণস্থায়ী ভোগবিলাস ও আনন্দগুলো যেন আপনাকে মোহগ্রস্ত ও বিভ্রান্ত করতে না পারে এবং সবসময় আগামীকালের কথা বলতে থাকবেন না, কেননা আপনি জানেন না যে কখন আপনাকে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যেতে হবে।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
০৬/ আমরা হাসি-ঠাট্টা করি, কিন্তু কে জানে– হয়তো আল্লাহ আমাদের কিছু কাজকর্ম দেখে বলছেন: আমি তোমাদের কাছ থেকে কোনো আমলই গ্রহণ করব না।-আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
০৭/ পৃথিবীর জীবনটা তিনটি দিনের– গতকালের দিনটিতে যা করা হয়েছে সেগুলো নিয়ে সেটি চলে গেছে; আগামীকালের দিনটিতে হয়ত আপনি না-ও পৌছতে পারেন; কিন্তু আজকের দিনটি আপনার জন্য সুতরাং যা করার আজই করে নিন।-আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
০৮/ আমি সেসব মানুষদের (সালাফদের) দেখেছিলাম তারা তাদের দিরহাম ও দিনারের (অর্থাৎ, তাদের টাকার) চেয়ে সময়ের প্রতি অনেক বেশি যত্নবান ছিলেন।-আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
০৯/ নিকৃষ্ট তো সেই মৃতব্যক্তির পরিবারের মানুষগুলো, যারা মৃত মানুষটির জন্য কান্নাকাটি করে অথচ তার রেখে যাওয়া ঋণ পরিশোধ করে না।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
১০/ কম বয়সে কোন কিছু শেখার প্রভাব অনেকটা পাথরের উপরে খোদাই করে লেখার মতন।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
১১/ হে আদমের সন্তানেরা! পৃথিবীর মাটির উপরে যতক্ষণ ইচ্ছা করে হেঁটে নাও কেননা খুব শীঘ্রই সেটা তোমার কবরে পরিণত হয়ে যাবে। মায়ের গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকে তো তোমার জীবনের আয়ু কমে যাওয়াকে তুমি ঠেকিয়ে রাখতে পারনি।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
১২/ বুদ্ধিমান ব্যক্তির জিহবা তার হৃদয়ের পেছনে থাকেঃ সে যখন কথা বলতে চায়, প্রথমে সে চিন্তা করে। যদি শব্দগুলো তার জন্য কল্যাণকর হয় তাহলে সে তা বলে। আর যদি কথাগুলো তার জন্য অকল্যাণকর হয় তাহলে সে চুপ থাকে।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
১৩/ একজন মূর্খ ব্যক্তির জিহবা তার হৃদয়ের সামনে থাকেঃ সে কথা বলার সময় খুব কমই চিন্তা করে এবং তার জন্য কল্যাণকর বা অকল্যাণকর যা-ই হোক সে বলে ফেলে।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
১৪/ তোমাদর আগে পৃথিবীতে যারা ছিলেন তারা মনে করতেন মৃত্যু তাদের সন্নিকটে। তাদের একেকজন পবিত্রতা অর্জনের জন্য পানি সংগ্রহ করে নিতেন, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতেন এবং তারপর ওযু করতেন আল্লাহর নির্দেশের (মৃত্যু) ভয়ে যেন তা এমন অবস্থায় না আসে যখন তিনি পবিত্র অবস্থায় নেই।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
১৫/সালাফগণ রাতে সলাতে দাঁড়িয়ে কুরআন তিলাওয়াত করতেন এবং দিনের বেলা কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী আমল করতেন।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
১৬/আল্লাহর যিকরে, সলাতে এবং কুরআন তিলাওয়াতে যে ব্যক্তি সুখ খুঁজে পায় না, সে অন্য কোথাও তা খুঁজে পাবে না।-আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
১৭/পারস্পরিক হাত মেলানো (করমর্দন) বন্ধুত্ব বাড়ায়।-আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
১৮/ একজন মু’মিনের যত গুণাবলী রয়েছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো ক্ষমাশীলতা।-আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
১৯/ মন্দের মূল তিনটি এবং শাখা ছয়টি। মূল তিনটি হলো — ১) হিংসা-বিদ্বেষ, ২) লোভ-লালসা এবং ৩) দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা। আর শাখা ছয়টি হলো — ১) নিদ্রা, ২) পেট ভরে খাওয়া, ৩) আরাম-আয়েশ, ৪) নেতৃত্ব, ৫) প্রশংসা পাওয়া ও ৬) গর্ব-অহংকারের প্রতি আকর্ষণ ও ভালোবাসা।-আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
২০/ আমি এমন মানুষদের (সাহাবা) সান্নিধ্য অর্জন করেছিলাম যারা তাদের কোন সৎকাজকে ছেড়ে দেয়া যতটা ভয় করতেন তা তোমরা তোমাদের পাপকাজের পরিণামকে যতটুকু ভয় কর তার চাইতেও বেশি।-আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
২১/ দুনিয়ার জীবনকে আখিরাতের জন্য বিক্রি করলে আপনি দুই জীবনেই জয়ী হবেন। আখিরাতের জীবনকে দুনিয়ার জন্য বিক্রি করলে আপনি দুই জীবনেই পরাজিত হবেন।- আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
Download full app from the link given below : https://play.google.com/store/apps/details?id=com.arefin.bani