Archive

Category Archives for "Uncategorized"

কখনো আমার মাকে – শামসুর রাহমান

কখনো আমার মাকে কোনো গান গাইতে শুনিনি।
সেই কবে শিশু রাতে ঘুম পাড়ানিয়া গান গেয়ে
আমাকে কখনো ঘুম পাড়াতেন কি না আজ মনেই পড়ে না।

 

যখন শরীরে তার বসন্তের সম্ভার আসেনি,
যখন ছিলেন তিনি ঝড়ে আম-কুড়িয়ে বেড়ানো
বয়সের কাছাকাছি হয়তো তখনো কোনো গান
লতিয়ে ওঠেনি মীড়ে মীড়ে দুপুরে সন্ধ্যায়,
পাছে গুরুজনদের কানে যায়। এবং স্বামীর

 

সংসারে এসেও মা আমার সারাক্ষণ
ছিলেন নিশ্চুপ বড়ো, বড়ো বেশি নেপথ্যচারিণী। যতদূর
জানা আছে, টপ্পা কি খেয়াল তাঁকে করেনি দখল
কোনোদিন। মাছ কোটা কিংবা হলুদ বাটার ফাঁকে
অথবা বিকেলবেলা নিকিয়ে উঠোন
ধুয়ে মুছে বাসন-কোসন
সেলাইয়ের কলে ঝুঁকে, আলনায় ঝুলিয়ে কাপড়,
ছেঁড়া শার্টে রিফু কর্মে মেতে
আমাকে খেলার মাঠে পাঠিয়ে আদরে
অবসরে চুল বাঁধবার ছলে কোনো গান গেয়েছেন কি না
এতকাল কাছাকাছি আছি তবু জানতে পারিনি।

 

যেন তিনি সব গান দুঃখ-জাগানিয়া কোনো কাঠের সিন্দুকে
রেখেছেন বন্ধ ক’রে আজীবন, এখন তাদের
গ্রন্থিল শরীর থেকে কালেভদ্রে সুর নয়, শুধু
ন্যাপথলিনের তীব্র ঘ্রাণ ভেসে আসে !

বাংলাটা ঠিক আসে না! – ভবানীপ্রসাদ মজুমদার

ছেলে আমার খুব ‘সিরিয়াস’ কথায়-কথায় হাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসেনা।
ইংলিশে ও ‘রাইমস’ বলে
‘ডিবেট’ করে, পড়াও চলে
আমার ছেলে খুব ‘পজেটিভ’ অলীক স্বপ্নে ভাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

 

‘ইংলিশ’ ওর গুলে খাওয়া, ওটাই ‘ফাস্ট’ ল্যাঙ্গুয়েজ
হিন্দি সেকেন্ড, সত্যি বলছি, হিন্দিতে ওর দারুণ তেজ।
কী লাভ বলুন বাংলা প’ড়ে?
বিমান ছেড়ে ঠেলায় চড়ে?
বেঙ্গলি ‘থার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ’ তাই, তেমন ভালোবাসে না
জানে দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

 

বাংলা আবার ভাষা নাকি, নেই কোনও ‘চার্ম’ বেঙ্গলিতে
সহজ-সরল এই কথাটা লজ্জা কীসের মেনে নিতে?
ইংলিশ ভেরি ফ্যান্টাসটিক
হিন্দি সুইট সায়েন্টিফিক
বেঙ্গলি ইজ গ্ল্যামারলেস, ওর ‘প্লেস’ এদের পাশে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

 

বাংলা যেন কেমন-কেমন, খুউব দুর্বল প্যানপ্যানে
শুনলে বেশি গা জ্ব’লে যায়, একঘেয়ে আর ঘ্যানঘ্যানে।
কীসের গরব? কীসের আশা?
আর চলে না বাংলা ভাষা
কবে যেন হয় ‘বেঙ্গলি ডে’, ফেব্রুয়ারি মাসে না?
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

 

ইংলিশ বেশ বোমবাস্টিং শব্দে ঠাসা দারুণ ভাষা
বেঙ্গলি ইজ ডিসগাস্টিং, ডিসগাস্টিং সর্বনাশা।
এই ভাষাতে দিবানিশি
হয় শুধু ভাই ‘পি.এন.পি.সি’
এই ভাষা তাই হলেও দিশি, সবাই ভালোবাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসেনা।

 

বাংলা ভাষা নিয়েই নাকি এংলা-প্যাংলা সবাই মুগ্ধ
বাংলা যাদের মাতৃভাষা, বাংলা যাদের মাতৃদুগ্ধ
মায়ের দুধের বড়ই অভাব
কৌটোর দুধ খাওয়াই স্বভাব
ওই দুধে তেজ-তাকত হয় না, বাংলাও তাই হাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসেনা।

 

বিদেশে কী বাংলা চলে? কেউ বোঝে না বাংলা কথা
বাংলা নিয়ে বড়াই করার চেয়েও ভালো নিরবতা।
আজ ইংলিশ বিশ্বভাষা
বাংলা ফিনিশ, নিঃস্ব আশা
বাংলা নিয়ে আজকাল কেউ সুখের স্বর্গে ভাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসেনা।

 

শেক্সপীয়র, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, শেলী বা কীটস বা বায়রন
ভাষা ওদের কী বলিষ্ঠ, শক্ত-সবল যেন আয়রন
কাজী নজরুল- রবীন্দ্রনাথ
ওদের কাছে তুচ্ছ নেহাত
মাইকেল হেরে বাংলায় ফেরে, আবেগে-উচছ্বাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসেনা।

ঝুলন – শ্রীজাত – Bengali Kabita

আজ তো কলকাতা মেঘের ডাকঘর
ঝুলনে সাজিয়েছে ট্র্যাফিক জ্যাম…
তোমাকে শুদ্ধেই মানায় বরাবর।
আমার কল্যাণ শুধুই শ্যাম।

 

রাইও ঘুমিয়েছে সুতোর দোলনায়
এমনই অলসতা, অকাজে ভুল…
শহুরে অভিসার জোনাকি সামলায়
সে বুঝি বৃষ্টিতে বাঁধে না চুল?

 

হৃদয় ছোট পাড়া। রিকশা চলে কম।
তুমি কি হাঁটুজলে আসবে আজ?
দেখেছি আলবেলি কিনারে ঝমাঝম
মেঘের ডাক। আর ডাকের সাজ।

 

শ্রাবণে যত চিঠি নৌকো হয়ে যায়
তারা কি ফিরে আসে ঘাটের পার?
দু’জনে ঘুম যায় নিঝুম ঝুলনায়…
ঝুলনে কাউকেই লাগে না আর।

 

অথচ কলকাতা অথৈ বুকজল
কাজল মুছে নেয় মেঘের চোখ…
ও রাই, শ্যামে যাও। কোরো না বৃথা ছল।
আমার কল্যাণ শুদ্ধ হোক।

এক জন্ম – তারাপদ রায়

অনেকদিন দেখা হবে না

তারপর একদিন দেখা হবে।

দুজনেই দুজনকে বলবো,

‘অনেকদিন দেখা হয় নি’।

এইভাবে যাবে দিনের পর দিন

বত্সরের পর বত্সর।


তারপর একদিন হয়ত জানা যাবে

বা হয়ত জানা যাবে না,

যে তোমার সঙ্গে আমার

অথবা আমার সঙ্গে তোমার

আর দেখা হবে না।

কবিকন্যা – জয় গোস্বামী

শক্তির মেয়ের সঙ্গে প্রেম করব স্বপ্ন ছিল যুবক বয়সে

শ্রোতার আসনে বসে মঞ্চে দেখা শক্তিকে দু’বার।

কন্যাটিকে একবারও নয়।

তবু ইচ্ছে,ইচ্ছে-সার,মন গাছের গোড়ায় ঢাললেই

ফুল ফুটতে দেরির কী আছে!

শক্তিদা বলার মতো সম্পর্ক যখন হল তখনও কবিকে সীমাহীন

দূরের সম্ভ্রমে রাখি।ভালোবাসি আরো সীমাহারা।

কর্মসূত্রে যে-সাক্ষাৎ,তাকে রেখে আসি কর্মস্থলে।

বাড়িতে একবার যাওয়া, জন্মদিন ভিড়ে সরগরম।

শুনেছি কন্যাটি পড়ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।

দু’বার যাদবপুরে তার আগেই মুখ পুড়িয়েছি

অতএব ওদিকে না… অনত্র সন্ধান করা ভাল…

দেখলাম একবার মাত্র।শেষযাত্রা চলেছে কবির…

ফুল ভরতি লরির ওপরে

ফাল্গুনের হেলে পড়া রোদ সে-দুহিতা

হাত দিয়ে আড়াল করছে বাবার মুখের সামনে থেকে…

সেই দেখা শ্রেষ্ঠ দেখা।শোকার্ত মুখটিও মনে নেই।

মনে আছে হাতখানি।জগতের সকল কবির

কন্যা সে-ই – সকলের আঘাত, বিপদ

আটকায় সে-হাতপাখা-আজ বুকুনেরই মুখে

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের আত্মজাকে দেখতে পাই-

যখন বুকুন ওড়না দিয়ে

ট্যাক্সির জানলায় আসা রোদ থেকে আমাকে বাঁচায়।

কন্যা দিবসের শুভেচ্ছা

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো কন্যা দিবসের শুভেচ্ছা। আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।

 

কন্যা দিবসের শুভেচ্ছা

 

কন্যারা ফুলের মতো, তারা বিশ্বকে সৌন্দর্যে ভরিয়ে দেয়।

 

কন্যা সন্তান হলো ঈশ্বরের দান। তারা মাতা পিতাকে যেমন বোঝে তেমন তাঁদের প্রতি যত্নবানও হন। সুখী জীবন কাটাতে কন্যা সন্তানের সান্নিধ্যে থাকা সৌভাগ্যের বিষয়। শুভ কন্যা দিবস।

 

 কন্যা সন্তানরাই পারে বড় হয়ে একদিন বাবা-মায়ের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠতে। তাই আপনার বাড়ির মেয়েটির সঙ্গেও মন খুলে হাসুন, চোখ খুলে স্বপ্ন দেখুন এবং তাঁকে অফুরন্ত ভালবাসায় ভরে দিন। দেখবেন ভবিষ্যতে কন্যা সন্তানের চাইতে বড় সাপোর্ট আর কিছুই হবে না পৃথিবীতে। হ্যাপি ডটার্স ডে।

 

সাহস, ত্যাগ, সংকল্প, ভালবাসা, দয়া, প্রতিশ্রুতি – প্রতিটি মেয়ের মধ্যেই এই গুণগুলি থাকা স্বাভাবিক। তাই তো তাঁদের ছাড়া এই সমাজ অসম্পূর্ণ।

মায়েদের জীবনে মেয়েরা অনেকটা অংশ জুড়ে থাকে। একজন মেয়ে তাঁর মায়ের জীবন সম্পর্কে যত জানে, ততই তাঁর মনের জোর বাড়ে, যাঁর সঙ্গে তারা প্রাণ ভরে হাসেন, মন খুলে কাঁদেন। মেয়েরা হল ফুলের মতোন। যার গন্ধে মায়েদের জীবন সুগন্ধে ভরে ওঠে।

 

প্রত্যেকটি মেয়েই তাঁর বাবার জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়। তাই তো বাবাদের কাছে তাঁর মেয়েরা হয় অমূল্য সম্পদ।

 

ছোট বড় নানা দুঃখের কথা নিমেষেই মেয়েরা বুঝে যায়। মা বাবার মুখে হাসি ফোটাতে সারাক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে যায়। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি তাঁদের সব স্বপ্ন, সব ইচ্ছে যেন পূরণ হয়। ডটার্স ডের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর ভালবাসা।

 

কন্যা হল দেবদূত। তাই যে ঘরে জন্ম নেয় কন্যা সন্তান, সেই পরিবারে অফুরন্ত আনন্দ ও ভালবাসায় ভরে ওঠে।

 

যে বাড়িতে করা হয় কন্যাকে সম্মান, সেই বাড়ি হয় স্বর্গের সমান।

 

যে বাড়িতে করা হয় কন্যাকে সম্মান, সেই বাড়ি হয় স্বর্গের সমান।

 

কন্যাদের হাসতে শেখান। কারণ, তাদের হাসিতেই লুকিয়ে আছে অফুরন্ত আনন্দের চাবিকাঠি। হ্যাপি ডটার্স ডে

 

 

কন্যা হল ফুলের মতো। যে ঘরে আসে সেই পরিবারে সুগন্ধে ভরে ওঠে, জীবনের ক্যানভাস হয় আরও রঙিন।

 

 মেয়েরা যতই বড় হয়ে যাক না কেন, সারা জীবনই তারা তাঁদের বাবা মায়ের কাছে ছোট্ট প্রিন্সেস হয়েই থাকে।

অন্যকে নিয়ে উক্তি

অন্যকে নিয়ে উক্তি – প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো অন্যকে নিয়ে উক্তি ও বানী। আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।

 

অন্যের সমালোচনা নিয়ে উক্তি

 

  •  “তোমার ভবিষ্যত এলে তুমি কি নিজের অতীতকে দোষ দেবে ?”

 

  •  “আমি কারুর প্রশংসা বা দোষের দিকে মনোযোগ দি না। আমি কেবল নিজের অনুভূতির অনুসরণ করি।”

 

  • “তোমার সমস্যাটির জন্য, অন্য লোকের উপর দোষ দিয়ে তুমি কখনই এগুতে পারবে না!”

 

  • “খারাপ সিদ্ধান্ত নেওয়া জীবনের একটি অঙ্গ কিন্তু তোমার খারাপ সিদ্ধান্তের জন্য অন্যকে দোষ দেওয়া অপরিণত।”

 

  •  “দুর্বল ব্যক্তিকে দোষ দেয়া খুবই সহজ; সবল কে ততটাই কঠিন!”

 

  • . “মহান নেতারা দোষ দিতে ছুটে যান না। তারা সহজাতভাবে সমাধানগুলি সন্ধান করেন।”

 

  • দোষ দেওয়ার চেয়ে যথাযথ প্রশংসা করা আরও কঠিন।”

 

  • “তোমাকে নিরাশ করার জন্য লোককে দোষ দেবে না, বরং তাদের কাছ থেকে বেশি আশা করার জন্য নিজেকে দোষ দাও!”

 

  • “তুমি জল কে দোষ দিতে পারোনা নৌকার ছিদ্র খোঁজার জন্য।”

 

  • “জোরে প্রশংসা করো, আস্তে দোষ দাও!”

 

  • “অন্যকে দোষ দেওয়া সর্বদা সহজ। তুমি বিশ্বকে দোষ দিয়ে তোমার পুরো জীবন ব্যয় করতে পারো, তবে তোমার সাফল্য এবং ব্যর্থতাগুলি সম্পূর্ণ তোমার দায়িত্ব।”

 

  •  “যদি তুমি বাতাসের কাছে তোমার গোপনীয়তা প্রকাশ করো আর সেটা যদি বাতাস গাছকে বলে, তখন বাতাসকে দোষ দেওয়া উচিত নয়।”

কথা নিয়ে উক্তি

কথা নিয়ে উক্তি– প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো কথা নিয়ে উক্তি ও বানী। আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।

 

কথা নিয়ে উক্তি

  • বেফাস কথা বলার চেয়ে চুপ থাকাটাই নিরাপদ ।

 

  •  সত্য কথা বলে শয়তানকে অপমান করো ।
  •  যে ব্যক্তি সত্য কথা বলে সে সবসময় শান্তিতে থাকে ।

 

  • মাঝে মাঝে মানুষ সত্য শুনতে চায় না কারণ তারা চায় না তাদের ভ্রম ধ্বংস হয়ে যাক ।

 

  • আমরা যা শুনি তা হলো মতামত,বাস্তবতা না;আমরা যা দেখি তা হলো দৃষ্টিভংগি, সত্য না ।

 

  •  যাদের চিন্তা কম তারাই বেশি কথা বলে ।

 

  • কথা বেশি বলাটা গর্বের কিছু নয়, এমন কথা বলা উচিত যাতে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়।

 

  • ভালো কথা খারাপ লোক বললেও তা গ্রহণ করবে ।

 

  • কথায় যদি নিজের বোকামি প্রকাশ পায়।তবে চুপ করে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ ।
  • কিছু কিছু কথা থাকে যা কাউকে বলা যায় না, আমি তোমাকে বলেছিলাম। নিজের সমস্ত কথা খুচরো দরে তোমার কাছে বিক্রি করে দিয়ে নিজেকে করেছিলাম নিঃস্ব। তারপর তুমি কি করলে? সেই কথাদেরই অস্ত্র বানিয়ে আঘাত করলে হৃদয়ে।

 

  • তোমার সাথে কথা হোক। কথারা কথা বলুক চিরকাল, প্রেম জাগুক কথাদের সাথেই প্রিয়তমা।
  • বিশ্বস্ত কথার আছে শোক নিরাময়ের গুণ ।

 

  • মুখ খোলা থাকা সত্ত্বেও সবসময় সব কথা বলা যায় না ।

 

  • তুমি যদি কথা বলতে ভালবাসো তবে নিম্নস্বরে কথা বলো ।

 

  • তোমার কথাগুলো মনে পড়ে যায়।অসহায় ছিলাম তোমাকে ভালবেসে অতঃপর তোমার কথারা হৃদয় ভেঙে চলে গেলো ।

 

  •  মনে হয় আমিই জগতে সবথেকে সুখী মানুষ।তোমার কথা শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ি আবার তোমার গলার স্বরেই ঘুম ভাঙে আমার।শব্দেরা যেনো ফুলের বৃষ্টি ঝরায় কানে,তোমার কথার প্রেমে পড়ি বারবার ।
  • জীবনের সব কথা তো কথা নয় ,কিছু কথা আমাদের মনের প্রতিফলন।কিছু কথা হৃদয় নিঙড়ানো ব্যাথা ,কিছু কথা আনন্দের বসন্তের কোকিল,কিছু কথা অহেতুক আর কিছু কথা হাহাকার। জীবন আসলে কথাদেরই সমষ্টি।কথারা ফুরিয়ে গেলে মৃত্যু গনিয়ে আসে ।

 

  • ওগো প্রেয়সী,তোমার বাকানো ঠোটে আরো অজস্র কথা ফুটোক টকটকে লাল গোলাপের মতো। কথা দিয়ে মাতিয়ে রাখো আমায়। ঠোটে ফুটোক রাগের কালো গোলাপ,ঠোটে ফুটোক আদরের গোলাপী গোলাপ আরো ফুটোক বেহেসাবী লাল,হলুদ, মেজেন্টা রঙের হাজারো কথার গোলাপ।তুমি কথা বলা থামিও না কখনো প্রিয়তমা,কথারা আমাকে জীবন দেয় ।

 

উপরে আপনাদের জন্য কিছু জনপ্রিয় কথা নিয়ে উক্তি শেয়ার করলাম। সামনে অন্য কোনো বিষয়ে উক্তি শেয়ার করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ

আমার মা মনে করেন আমিই সেরা,আর মা মনে করেন বলেই আমি সেরা হয়ে গড়ে উঠেছি।-দিয়াগো ম্যারাডোনা

ম মা নিয়ে উক্তি দিয়ারঘা ম্যারাডোনা আমার মা মনে করেন আমিই সেরা,আর মা মনে করেন বলেই আমি সেরা হয়ে গড়ে উঠেছি। -দিয়াগো ম্যারাডোনা