বিজয় দিবসের বক্তব্য

সম্মানিত সভাপতি,বিশেষ অতিথি,সমবেত সুধিমন্ডলী ও বন্ধুগণ,সবাই বিজয়ের এই মহান দিনে আমার সালাম ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন । আজ ১৬ডিসেম্বর বাঙালির জীবনে এক পরমানন্দের দিন,শৃঙ্খল ভাঙার দিন,স্বাধীন আকাশে মুক্ত পাখির মতো উড়ে বেড়াবার দিন । আজকে স্বাধীনতার এই দিনে দাড়িয়ে স্মরণ করছি আমাদের আত্নত্যাগী ভাইবোনদের যারা তাদের প্রাণের বিনিময়ে ফিরিয়ে এনেছেন আমাদের মাতৃভূমি । (এরপর মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি সম্বন্ধে কিছু আলোকপাত করবেন) প্রিয় স্বাধীনতাভোগী দেশপ্রেমিক বন্ধুগণ,আজ এই মহান বিজয় দিবসে আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ আমরা যেন কখনোই ভুলে না যাই এই রক্তঝরা ইতিহাস ।বাঙালিরা তাদের জীবন উত্‍সর্গ করেছেন ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে ৭১ এর স্বাধীনতা অর্জনে আমাদের তা করতে হবে না শুধু দেশপ্রেমকে জাগ্রত করে ন্যায়ের সঙ্গে কাজ করলে সোনার বাংলাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারব ।আমাদের ভাইবোনদের রক্তে গড়া এদেশকে বাস্তবে রূপ দিতে এবং তাদের আত্নত্যাগী স্বপ্নকে পূর্ণ আসুন আমরা সবাই হাতে হাত মেলাই।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্য

আজ ১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ভূমিষ্ট হয়। বাংলাদেশের এই বিজয় ছিনিয়ে আনতে দীর্ঘ নয় মাস পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রক্তাক্ত যুদ্ধ করেছে এ দেশের দামাল ছেলেরা। এ যুদ্ধ ছিলো অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ, পরাধীনতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ, মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ। মাতৃভুমির কপালে বিজয়ের লাল টিপ পড়াতে লাখো শহীদ তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে, হাজারো মা বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন। আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি লাখ লাখ বীর শহীদের যারা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে আমাদের জন্য এনে দিয়েছে স্বাধীনতা। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে যে স্বাধীনতা, আমরা পেয়েছি যে বিজয়… সেই বিজয় অর্জনের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো এদেশেরই কিছু মানুষরূপী নরপশু। বিজয়ের ৪৫ বছর পরও সেই নরপশুদের বিচার হয়নি। লাখো শহীদের রক্তে আর মা বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে কেনা আমাদের মাতৃভুমি বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীরা আজও বসবাস করে। এ লজ্জা আমাদের, এ অপমান আমাদের মায়ের মতো দেশের। আসুন আজ আমরা শপথ নেই, মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে কেনা লাল-সবুজের বাংলাদেশে কোন যুদ্ধাপরাধীর জায়গা হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।

Bangla Quote