১. ভালো খাদ্য বস্তু পেট ভরে কিন্ত ভাল বই মানুষের আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে। -…
ঝর্ণা ও জলপ্রপাত নিয়ে কিছু জানা-অজানা
অনিন্দ্য সুন্দর প্রাকৃতিক ঝর্ণা দেখতে সবারই মন চায়। তাইতো প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ পর্যটক দুর্গম পাহাড়ি পথ ডিঙ্গিয়ে ছুটে যান ঝর্নার পানে। ঝর্ণা দেখ সবারই মনে প্রশ্ন জাগে কিভাবে পানি পড়তেছে? এই পানি এলো কই থেকে? কৌতূহলী মন কত কিছুই জানতে চায়।
আমরা জানি বৃষ্টি হলে পানি মাটির নিচে চলে যায়। পাহাড়গুলোর নিচু স্তর শিলা দ্বারা গঠিত। বৃষ্টির পানি পাহাড়ের উপরিভাগের মাটি বেয়ে নিচে নামতে নামতে শিলা স্তরে গিয়ে আর নিচে নামতে পারে না। কারণ পানি শিলা ভেদ করতে পারে না। তখন পানি শিলা স্তরের ঢাল বেয়ে নিচের দিকে এক সাইডে যাইতে থাকে। এইভাবে নিচের দিকে আসতে আসতে যখন পাহাড়ের একদিকে এসে মাটি পেয়ে যায় তখন পানির প্রবলে স্রোতে মাটি সরে যায়। পাহাড়ে একটা গর্ত তৈরি হয়ে সৃষ্টি হয় ঝর্ণার। এই গর্ত বেয়ে শিলা স্তরের উপরে জমা হওয়া পানি বের হতে থাকে। পানি পরতে পরতে এক সময় সব মাটি সরে গিয়ে শুধু পাথরই টিকে থাকে। তাই দেখবেন সব ঝর্ণার গোঁড়ায় শুধু পাথর। ঝর্ণা যদি পাহাড়ের উপরিভাগে হয় তাইলে বেশি পানি জমে না। তাই বৃষ্টি হওয়ার কয়েক দিনের মাঝেই পানি শেষ হয়ে যায়। বাংলাদেশের বেশিরভাগ ঝর্ণারই পানি ধারণ ক্ষমতা কম। তাই বর্ষাকালে ঝর্ণা দেখাই উত্তম।
ঝর্ণা আর জলপ্রপাত কি এক?
ঝর্ণা আর জলপ্রপাত দেখতে এক রকম মনে হলেও দুইটা ভিন্ন জিনিষ। ঝর্ণা হল পাহাড়ের উপরে বৃষ্টির জমা হওয়া পানি মাটি ফুড়ে বেরিয়ে আসে। আর জলপ্রপাত হলো পাহাড়ের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কোন নদী। যা পাহাড়ের শেষ মাথায় এসে ঝর্ণার ন্যায় নিচে পরে। জলপ্রপাতের মুখ অনেক চওড়া হয়। মাধবকুণ্ড এমন জলপ্রপাত ।
ঝর্ণা ও জলপ্রপাতের মাঝে পার্থক্য কী?
Source- Here