উপন্যাসের উক্তি

“বার্ট্রাণ্ড রাসেল বলেছেন- সংসারে জ্বালা-যন্ত্রণা এড়াবার প্রধান উপায় হচ্ছে, মনের ভিতর আপন ভূবন সৃষ্টি করে নেওয়া এবং বিপদকালে তার ভিতরে ডুব দেওয়া। যে যত বেশী ভুবন সৃষ্টি করতে পারে, ভবযন্ত্রণা এড়াবার ক্ষমতা তার বেশী হয়।”-সৈয়দ মুজতবা আলী
‘ যাযাবর গৃহস্থজীবন বড় বিচিত্র। কথা বলিয়া দেখিয়াছি ইহাদের সঙ্গে, সম্পূর্ণ বন্ধনমুক্ত, ব্রাত্য ইহাদের জীবন —সমাজ নাই, সংসার নাই, ভিটার মায়া নাই, নীল আকাশের নীচে সংসার রচনা করিয়া, বনে, শৈলশ্রেণীর মধ্যস্থ উপত্যকায়, বড় নদীর নির্জন চরে ইহাদের বাস। আজ এখানে, কাল সেখানে।-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
“বাইরের বাতাস প্রেমের শিখা নিবাতে পারে না, আরও উজ্জ্বল করে দেয়।”-কাজী নজরুল ইসলাম
“ জীবন গল্প – উপন্যাস নয়। জীবনে কুৎসিত সব ব্যাপারগুলি সহজভাবে ঘটে যায়। অপরূপ রূপবতী একটি মেয়ে হাসতে – হাসতে কঠিন – কঠিন কথা বলে। ”- হুমায়ূন আহমেদ
❝যাদের ঘরে কোনো আকর্ষণ নেই তারা সন্ধ্যাবেলা ঘরে ফেরে না। ঠিক সন্ধ্যায় তারা একধরনের অস্থিরতায় আক্রান্ত হয়।❞-হুমায়ূন আহমেদ (হিমু)
‘ কোথায় চলিয়া গেল নিজের ঘর-সংসার ছাড়িয়া কে বলিবে ? ইহারা তো জমি লইয়া এতদিন পরে গৃহস্থালি পাতাইয়া বসবাস শুরু করিয়াছে, ইহাদের দলের মধ্যে সে-ই কেবল যে ভবঘুরে সেই ভবঘুরে রহিয়া গেল ‘-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
‘ কোথায় চলিয়া গেল নিজের ঘর-সংসার ছাড়িয়া কে বলিবে ? ইহারা তো জমি লইয়া এতদিন পরে গৃহস্থালি পাতাইয়া বসবাস শুরু করিয়াছে, ইহাদের দলের মধ্যে সে-ই কেবল যে ভবঘুরে সেই ভবঘুরে রহিয়া গেল ‘-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
” এক কয়েদি আরেক কয়েদিকে, ‘তোর কি মাথা খারাপ ?
আদালতে কেন স্বীকার করলি,কালোবাজারে চিনি কিনেছিস?’ দ্বিতীয় কয়েদি, ‘কী করি বল। সরকারপক্ষের উকিলই যে আমাকে চিনি বেচে ছিল। “-সৈয়দ মুজতবা আলী

বিভিন্ন উপন্যাসের উক্তি

“ মানুষ প্রায়ই পুরনো কথা ভুলে যায়। সে বর্তমানে সঙ্গতি সন্ধান করতে গিয়ে শুধু মুহূর্তের মধ্যে সঞ্চরণ করে কিন্তু যখন কর্মের দায়ভাগ কমে আসে, যখন অবশের বিস্তার স্বল্প থেকে ক্রমান্বয়ে বিপুল হতে থাকে তখন একমাত্র স্মৃতির সঞ্চয়গুলোই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। এ সঞ্চয়ের কোন অবক্ষয় নেই। ”-সৈয়দ আলী আহসান
“ মানুষ প্রায়ই পুরনো কথা ভুলে যায়। সে বর্তমানে সঙ্গতি সন্ধান করতে গিয়ে শুধু মুহূর্তের মধ্যে সঞ্চরণ করে কিন্তু যখন কর্মের দায়ভাগ কমে আসে, যখন অবশের বিস্তার স্বল্প থেকে ক্রমান্বয়ে বিপুল হতে থাকে তখন একমাত্র স্মৃতির সঞ্চয়গুলোই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। এ সঞ্চয়ের কোন অবক্ষয় নেই। ”- সৈয়দ আলী আহসান
“যে ব্যামোর দেখবেন সাতান্ন রকমের ওষুধ, বুঝে নেবেন, সে ব্যামো ওষুধে সারে না।”-সৈয়দ মুজতবা আলী
“ চমৎকার মেয়েগুলি সব এমন- এমন জায়গায় থাকে যে,ইচ্ছা করলেই হুট করে এদের কাছে যাওয়া যায় না। দূর থেকে এদের দেখে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলতে হয় এবং মনে-মনে বলতে হয়—আহা,এরা কী সুখেই না আছে! ”-হুমায়ূন আহমেদ
“ হুট করে প্রেম হয় কনজারভেটিভ ফ্যামিলিগুলিতে। ঐ সব ফ্যামিলির মেয়েরা পুরুষদের সঙ্গে মিশতে পারে না,হঠাৎ যদি সুযোগ ঘটে যায় —তাহলেই বড়শিতে আটকে গেল। উপরতলার মেয়েদের এই সমস্যা নেই। কত ধরনের ছেলের সঙ্গে মিশছে! -হুমায়ূন আহমেদ
“ মানুষের জীবনে মাঝে মাঝে রহস্যময়তা নামে এবং কখনও কখনও রোমাঞ্চ তাকে স্পর্শ করতে চায়। এগুলো কখনও প্রত্যাশিত থাকে না কিন্তু যৌবনের যাত্রারম্ভে এগুলো তৈরী হয় কখনও কল্পনায় কখনও বাস্তবে। বয়স কম বলেই হয়তো এবং অভিজ্ঞতা কম বলেই হয়তো আমরা যৌবনের কিছু লীলা চাঞ্চল্যকে রোমাঞ্চ বলে মনে করি এবং রহস্যময়তা এসেছে বলে উৎফুল্ল হই। ”- সৈয়দ আলী আহসান
‘ শুধু দুটি খাইবার জন্য ছেলেটি দলের সঙ্গে ঘুরিতেছে৷ পয়সার ভাগ সে বড় একটা পায় না। তাও সে খাওয়া কি! চীনা ঘাসের দানা, বাথুয়া শাক সিদ্ধ, কিংবা ধুঁধুল ভাজা। এই খাইয়ই মুখে হাসি তার সর্বদা লাগিয়া আছে। দিব্যি স্বাস্থ্য, অপূর্ব লাবণ্য সারা অঙ্গে।-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
“ বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে আগ্রহ যেমন জাগে তেমনি শংকাও জাগে। সকল দায়দায়িত্বমুক্ত নিশ্চিন্ত উন্মুক্ততার পর একটি বন্ধনদশার নিপীড়ন আছে তেমনি আবার নিজস্ব অঞ্চল নির্মাণের আনন্দও আছে। ”-সৈয়দ আলী আহসান
‘ সিটি অফ জয় ‘ আমার কাছে। আগেই পড়েছি। তবে তোমার উপহার দেওয়া বলে এটিও রেখে দেবো।
বইটি আমার ভালো লাগেনি। কেন লাগেনি বলতে গেলে অনেক কিছু বলতে হয়। এক কথায় বললে বলব সকলের যা ভালো লাগে আমার তা লাগে না ‘-বুদ্ধদেব গুহ
‘ শেষরাত্রের শীতে সে যেন ঠান্ডা জল হইয়া যায় প্রতিদিন। যে পাশে শুইয়া থাকি, শরীরের গরমে সে-দিকটা তবুও থাকে এক রকম, অন্য কাতে পাশ ফিরিতে গিয়া দেখি বিছানা কনকন করিতেছে সে-পাশে মনে হয় যেন ঠান্ডা পুকুরের জলে পৌষ মাসের রাত্রে ডুব দিলাম ‘-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
“ জীবনের মুক্ততার পর একটু বন্ধন আমরা সবাই মেনে নেই। একজন ইংরেজ কবি লিখেছেন যে বিয়ের বাক্যটি আকাঙ্ক্ষার সমুদ্রের মধ্যে একটি দ্বীপের মত। দ্বীপে দ্বীপে ঢেউয়ের ধাক্কা লাগে, শরীর কেঁপে ওঠে অন্ধকারে ভাসমান নৌকার মত। একটি নতুন সময়ের লীলায় জীবনে পরিবর্তন আসে। ”- সৈয়দ আলী আহসান

সাহিত্যিক উক্তি

 

১। ‘আজি হতে শত বর্ষে পরে কে তুমি পড়িছ, বসি আমার কবিতাটিখানি কৌতূহল ভরে।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 

২। ‘সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করনি। (বঙ্গমাতা)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

৩। ‘এ দুর্ভাগা দেশ হতে হে মঙ্গলময় ,দূর করে দাও তুমি সর্ব তুচ্ছ ভয়।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

৪। ‘মানুষের উপর বিশ্বাস হারানাে পাপ। (সভ্যতার সংকট)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

৫। একখানি ছােট ক্ষেত আমি একেলা, চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা। (সােনার তরী) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 

৬। ‘ঠাই নাই, ঠাই নাই, ছােটো এ তরী, আমারি সােনার ধানে গিয়াছে ভরি। (সােনার তরী) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

৭। ‘গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা। কুলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা। (সোনার তরী) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

৮। নীল নবঘনে আষাঢ় গগণে, তিল ঠাই আর নাহিরে। ওগাে, আজ তােরা যাসনে ঘরের বাহিরে (আষাঢ়) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

৯। চিক চিক্ করে বালি, কোথা নাই কাদা, একধারে কাশবন ফুলে। ফুলে সাদা (আমাদের ছােট নদী) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

১০। ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, নদের এল বান – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

১১। বিপদে মােরে রক্ষা কর এ নহে মাের প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয়।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

১২। ‘প্রহরশেষের আলােয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস, তােমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।’- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

১৩। “খাঁচার পাখি ছিল সােনার খাঁচাটিতে, বনের পাখি ছিল বনে। একদা কী করিয়া মিলন হল দোঁহে, কী ছিল বিধাতার মনে”- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

১৪। যে ছেলে চাবামাত্রই পায়, চাবার পূর্বেই যার অভাব মােচন হতে থাকে; সে নিতান্ত দুর্ভাগা। ইচ্ছা দমন করতে না শিখে কেউ কোন কালে সুখী হতে পারে না।’- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

১৫। কালের যাত্রা ধ্বনি শুনিতে কি পাও? তারি রথ নিত্যই উধাও।’- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

১৬। তােমারে যা দিয়েছিনু সে তােমারি দান, গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

১৭।আজিই এ প্রভাতে রবির কর কেমনে পশিল প্রাণের পর, কেমনে পশিল গুহার আঁধারে প্রভাত পাখির গান।’- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

১৮।যে আমারে দেখিবার পায় অসীম ক্ষমতায় ভালাে মন্দ মিলায়ে। সকলি, এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

১৯।উদয়ের পথে শুনি কার বাণী ভয় নাই, ওরে ভয় নাই,
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

২০। ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা ওরে সবুজ, ওরে অবুজ, আধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা (সবুজের অভিযান) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

২১। কারাে আর ধলাে বাহিরে কেবল। ভিতরে সবারি সমান রাঙ্গা (মানুষ জাতি) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

২২। ‘মরণ রে, তুহু মম শ্যামসমান (মরণ) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

২৩। বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি, সে আমার নয় – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

২৪। ‘ফ্যাশনটা হল মুখােশ, স্টাইলটা হল মুখশ্রী’ (শেষের কবিতা) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

২৫। ‘সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালােবাসিলাম, সে কখনাে করে না বঞ্চনা -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

২৬। ‘আকাশে তাে আমি রাখি নাই, মাের উড়াবার ইতিহাস – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

২৭। ‘এ জগতে হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি, রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি (দুই বিঘা জমি) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

 

২৮। “বল বীর-
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারি আমরি, নত-শির ওই শিখর হিমাদ্রীর!” (“অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘বিদ্রোহী কবিতা থেকে নেয়া) – কাজী

নজরুল ইসলাম

 

২৯। ‘আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস
আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ (‘অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘বিদ্রোহী কবিতা থেকে নেয়া) কাজী নজরুল ইসলাম

 

৩০। ‘গাহি সাম্যের গান, মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান (মানুষ) – কাজী নজরুল ইসলাম

 

৩১। ‘গাহি তাহাদের গান, ধরনীর হাতে দিল যারা আনি ফসলের ফরমান। (জীবন-বন্দনা) – কাজী নজরুল ইসলাম

 

৩২। ‘দেখিনু সেদিন রেলে, কুলি বলে এক বাবু সাব তারে ঠেলে দিল নীচে ফেলে (সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থের ‘কুলি-মজুর কবিতা থেকে নেয়া) কাজী নজরুল ইসলাম

 

৩৩। ‘বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণ কর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর (নারী) – কাজী নজরুল ইসলাম

 

৩৪। ‘হে দারিদ্র্য তুমি মােরে করেছ মহান। তুমি মােরে দিয়াছ খ্রীস্টের সম্মান কন্টক মুকুট শােভা (দারিদ্র) – কাজী নজরুল ইসলাম

 

৩৫। ফাঁসির মঞ্চ গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান, আসি অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন বলিদান?’ (কাণ্ডারি হুশিয়ার) কাজী নজরুল ইসলাম

 

৩৬। ‘নিঃশেষে নিশাচর, গ্রাসে মহাবিশ্বের, ত্রাসে কাপে তরণীয় পাপী যত নিঃস্বে’ (খেয়া পারের তরুণী) : কাজী নজরুল ইসলাম

 

৩৭। ‘বাহিরের স্বাধীনতা গিয়াছে বলিয়া অন্তরের স্বাধীনতাকেও আমরা যেন বিসর্জন না দিই।’- কাজী নজরুল ইসলাম

 

৩৮। ‘আজি হতে শত বর্ষে আগে, কে কবি, স্মরণ তুমি করেছিলে আমাদের শত অনুরাগে।’- কাজী নজরুল ইসলাম

 

৩৯। ‘এই খানে তাের দাদির কবর, ডালিম গাছের তলে তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে (কবর)- জসীম উদ্দীন

 

৪০। ‘এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সােনার মতন মুখ, পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক’ (কবর) – জসীম উদ্দীন

 

৪১। ‘আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়, কবর দেশেতে ঘুমায় নিঝঝুম নিরালায়!’ (কবর) – জসীম উদ্দীন

 

৪২। ‘এই মাের হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে, গাড়িয়া দিয়াছি কত সােনামুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে (কবর) – জসীম উদ্দীন

 

৪৩। ‘আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর। আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মােরে করেছে পর।’- জসীম উদ্দীন

 

৪৪। তুমি যাবে ভাই? যাবে মাের সাথে, আমাদের ছােট গাঁয়? গাছের ছায়ায় লতায় পাতায়, উদাসী বনের বায়?’- জসীম উদ্দীন

 

৪৫। বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ দেখিতে চাই না আর ((‘রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘বাংলার মুখ আমি’ কবিতা থেকে নেয়া) – জীবনানন্দ দাশ

 

৪৬। ‘আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে এই বাংলায় হয়তাে মানুষ নয় হয়তাে বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে’(রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত আবার আসিব ফিরে কবিতা থেকে নেয়া) – জীবনানন্দ দাশ

 

৪৭। হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছে পৃথিবীর পথে সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীদের অন্ধকারে মালয় সাগরে (বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত বনলতা সেন নামক কবিতা থেকে নেয়া)- জীবনানন্দ দাশ

 

৪৮। সব পাখি ঘরে আসে সব নদী ফুরায় এ জীবনের সব লেন দেন; থাকে শুধু অন্ধকার, মুখােমুখি বসিবার বনলতা সেন (বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘বনলতা সেন নামক কবিতা থেকে নেয়া)- জীবনানন্দ দাশ

 

৪৯।আমি যদি হতাম বনহংস, বনহংসী হতে যদি তুমি, কোনাে এক দিগন্তের জলসিড়ি নদীর ধানক্ষেতের কাছে (আমি যতি হতাম)- জীবনানন্দ দাশ

 

৫০। সুরঞ্জনা, ঐখানে যেয়াে না তুমি, বােলাে নাকো কথা ওই যুবকের সাথে (আকাশনীলা)- জীবনানন্দ দাশ

 

৫১। ‘এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান; জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত ধ্বংসস্তূপ পিঠে চলে যেতে হবে আমাদের (‘ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘ছাড়পত্র’ নামক কবিতা থেকে নেয়া) – সুকান্ত ভট্টাচার্য

 

৫২। এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযােগ্য করে যাব আমি- নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার (‘ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ছাড়পত্র’ নামক কবিতা থেকে নেয়া) – সুকান্ত ভট্টাচার্য

 

৫৩।যে শিশু ভূমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে, তার মুখে খবর পেলুম: সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক (ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘ছাড়পত্র নামক কবিতা থেকে নেয়া) – সুকান্ত ভট্টাচার্য

 

৫৪। ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানাে রুটি (‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত হে মহাজীবন কবিতা থেকে নেয়া)- সুকান্ত ভট্টাচার্য

 

৫৫। আঠারাে বছর বয়স কী দুঃসহ, স্পর্ধা নেয় মাথা তােলবার ঝুঁকি (ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘আঠারাে বছর বয়স’ কবিতা) – সুকান্ত ভট্টাচার্য

 

৫৬। এ বয়সে কেই মাথা নােয়াবার নয়, আঠারাে বছর বয়স জানে না কাঁদা (ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘আঠারাে বছর বয়স কবিতা) – সুকান্ত ভট্টাচার্য

 

৫৭। ‘রানার ছুটেছে তাই ঝুমঝুম ঘণ্টা রাজছে রাতে রানার চলেছে খবরের বােঝা হাতে (ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত রানার নামক কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে)- সুকান্ত ভট্টাচার্য

 

৫৮। ‘অবাক পৃথিবী অবাক করলে তুমি, জন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশ ভূমি’ (ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘অনুভবন কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে)- সুকান্ত ভট্টাচার্য

 

৫৯। কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে, দুঃখ বিনা সুখ লাভ কি হয় এই মহিতে?’- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

 

৬০। কেন পান্থ ক্ষান্থ হও হেরি দীর্ঘ পথ, উদ্যম বিহনে কার পুরে মনােরথ?’- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

 

৬১। যে জন দিবসে মনের হরষে জালায় মােমের বাতি, আশু গৃহে তার, দেখিবে না আর, নিশীথে প্রদীপ বাতি (মিতব্যয়িতা)- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

 

৬২। ‘চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে? কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে, কড়ু আশী বিষে দংশেনি যারে’ কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

 

৬৩। ‘সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন, হউক দূর অকল্যাণ সকল অশােভন।’- শেখ ফজলল করিম

 

৬৪। ‘কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর; মানুষের মাঝে স্বর্গ- নরক, মানুষেতে সুরাসুর।’- শেখ ফজলল করিম

 

৬৫। ‘প্রীতি ও প্রেমের পূণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে, স্বর্গে আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে।- শেখ ফজলল করিম

Bangla Quote