উপদেশমুলক উক্তি

উপদেশমুলক উক্তি – প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো উপদেশমুলক উক্তি ও বানী। আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।

উপদেশমুলক উক্তি

১)আগুনকে যে ভয় পায়, সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারে না –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(২)পা, বাঙলাদেশে, মাথার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পদোন্নতির জন্যে এখানে সবাই ব্যগ্র। কিন্তু মাথার যে অবনতি ঘটছে, তাতে কারো কোনো উদ্বেগ নেই –হুমায়ূন আজাদ

(৩)জন্মান্তরবাদ ভারতীয় উপমহাদেশের অবধারিত দর্শন। এ অঞ্চলে এক জন্মে পরীক্ষা দিতে হয়, আরেক জন্মে ফল বেরোয়, দু-জন্ম বেকার থাকতে হয়, এবং ভাগ্য প্রসন্ন হ’লে কোন এক জন্মে চাকুরি মিলতেও পারে –হুমায়ূন আজাদ

(৪)এখানে অসতেরা জনপ্রিয়, সৎ মানুষেরা আক্রান্ত –হুমায়ূন আজাদ

(৫)বাঙালি একশো ভাগ সৎ হবে, এমন আশা করা অন্যায়। পঞ্চাশ ভাগ সৎ হ’লেই বাঙালিকে পুরস্কার দেয়া উচিত– হুমায়ূন আজাদ

(৬)এখন পিতামাতারা গৌরব বোধ করেন যে তাঁদের পুত্রটি গুন্ডা। বাসায় একটি নিজস্ব গুন্ডা থাকায় প্রতিবেশীরা তাঁদের সালাম দেয়, মুদিদোকানদার খুশি হয়ে বাকি দেয়, বাসার মেয়েরা নির্ভয়ে একলা পথে বেরোতে পারে, এবং বাসায় একটি মন্ত্রী পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে– হুমায়ূন আজাদ

(৭)এদেশের মুসলমান এক সময় মুসলমান বাঙালি, তারপর বাঙালি মুসলামান, তারপর বাঙালি হয়েছিলো; এখন আবার তারা বাঙালি থেকে বাঙালি মুসলমান, বাঙালি মুসলমান থেকে মুসলমান বাঙালি, এবং মুসলমান বাঙালি থেকে মুসলমান হচ্ছে। পৌত্রের ঔরষে জন্ম নিচ্ছে পিতামহ– হুমায়ূন আজাদ

(৮)যতোদিন মানুষ অসৎ থাকে, ততোদিন তার কোনো শত্রু থাকে না; কিন্তু যেই সে সৎ হয়ে উঠে, তার শত্রুর অভাব থাকে না– হুমায়ূন আজাদ

(৯)আমাদের যাকে কোনো মূল্য দেয় না, প্রকাশ্যে তার অকুণ্ঠ প্রশংসা করে, আর যাকে মূল্য দেয় প্রকাশ্যে তার নিন্দা করে। শিক্ষকের কোনো মূল্য নেই, তাই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ; চোর, দারোগা, কালোবাজারি অত্যন্ত মুল্যবান, তাই প্রকাশ্যে সবাই তাদের নিন্দা করে– হুমায়ূন আজাদ

(১০)কোন বাঙালি আজ পর্যন্ত আত্মজীবনী লেখে নি, কেননা আত্মজীবনী লেখার জন্যে দরকার সততা। বাঙালির আত্মজীবনী হচ্ছে শয়তানের লেখা ফেরেশতার আত্মজীবনী– হুমায়ূন আজাদ

(১১)কারো প্রতি শ্রদ্ধা অটুট রাখার উপায় হচ্ছে তার সাথে কখনো সাক্ষাৎ না করা– হুমায়ূন আজাদ

(১২)দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না –হুমায়ূন আহমেদ

(১৩)নিয়মিত সংসদে যোগ দিলে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদাকে গাউছিয়া থেকে জামা কিনে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন হাসিনা –মতিকণ্ঠ

(১৪)ভবে মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার সর্ব সাধন সিদ্ধ হয় তার –লালন

(১৫)পৌরানিক পুরুষেরা সামান্য অভিজ্ঞতা ভিত্তি ক‘রে অসামান্য সব সিদ্ধান্ত নিতেন। যযাতি পুত্রের কাছে থেকে যৌবন ধার ক’রে মাত্র এক সহস্র বছর সম্ভোগের পর সিদ্ধান্তে পৌছেন যে সম্ভোগে কখনো তৃপ্তি আসে না! এতো বড়ো একটি সিদ্ধান্তের জন্যে সহস্র বছর খুবই কম সময় : আজকাল কেউ এতো কম অভিজ্ঞতায় এতো বড়ো একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার সাহস করবে না– হুমায়ূন আজাদ

(১৬)এমনভাবে অধ্যায়ন করবে, যেন তোমার সময়াভাব নেই, তুমি চিরজীবী। এমনভাবে জীবনযাত্রা নির্বাহ করবে, যেন মনে হয় তুমি আগামীকালই মারা যাবে। –মহাত্মা গান্ধী

১৭)শৃঙ্খলপ্রিয় সিংহের থেকে স্বাধীন গাধা উত্তম– হুমায়ূন আজাদ

(১৮)প্রাচুর্যের মধ্যে থাকা কালে দুঃখীদের মধ্যে উপদেশ দেয়া খুব ই সহজ –এস.কাইলাস

(১৯)নিন্দুকেরা পুরোপুরি অসৎ হ’তে পারেন না, কিছুটা সততা তাঁদের পেশার জন্যে অপরিহার্য; কিন্তু প্রশংসাকারীদের পেশার জন্য মিথ্যাচারই যথেষ্ট– হুমায়ূন আজাদ

(২০)ঝগড়া চরমে পৌঁছার আগেই ক্ষান্ত হও –হযরত সোলায়মান (আঃ)

(২১)অনুকরণ নয়, অনুসরণ নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে জানুন, নিজের পথে চলুন –ডেল ক্যার্নেগি

(২২)কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে? –কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

(২৩)কাউকে জ্ঞান বিতরণের আগে জেনে নিও যে তার মধ্যে সেই জ্ঞানের পিপাসা আছে কি-না। অন্যথায় এ ধরণের জ্ঞান বিতরণ করা হবে এক ধরণের জবরদস্তি। জন্তুর সাথে জবরদস্তি করা যায়, মানুষের সাথে নয়। হিউম্যান উইল রিভল্ট। –আহমদ ছফা

(২৪)তোমার ক্রোধ কে ধমিয়ে রাখ, নচেৎ ক্রোধেই তোমাকে নিঃস্ব করে দিবে –হোরেস

(২৫)সমস্ত জীব-জন্তু ও পশু-পাখির জীবনের বেশীর ভাগ সময় কেটে যায় নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে গিয়ে। মানুষের জন্যও এটা সত্যি। আমরাও নিরাপদ আশ্রয় খুঁজি –হুমায়ূন আহমেদ

(২৬)যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(২৭)যদি গুন না থাকে তবে অভিনয় করো –উইলিয়াম শেক্সপিয়র

(২৮)ভীরুরা মরার আগে বারে বারে মরে। সাহসীরা মৃত্যুর স্বাদ একবারই গ্রহণ করে। –উইলিয়াম শেক্সপিয়র

(২৯)যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না, তা অন্যকে উপদেশ দিও না –হযরত আলী (রাঃ)

(৩০)পরের কৃত ও অকৃত কার্যের প্রতি লক্ষ্য না রেখে নিজের কৃত ও অকৃত কার্যের প্রতি লক্ষ্য রাখবে –গৌতম বুদ্ধ

(৩১)যিনি তোমার ক্রুটি প্রদর্শন করেন ও তজ্জন্য ভৎর্সনা করেন সেই মেধাবীকে গুপ্তনিধির ন্যায় জানবে –গৌতম বুদ্ধ

(৩২)যিনি উপদেশ দেন, অনুশাসন করেন এবং অসভ্যতা নিবারণ করেন তিনি অসতের অপ্রিয় এবং সৎলোকের প্রিয় হন –গৌতম বুদ্ধ

(৩৩)অর্থহীন সহস্র বাক্য অপেক্ষা একটিমাত্র সার্থক বাক্য যা শুনে লোকে শান্তি লাভ করে তাই শ্রেয় –গৌতম বুদ্ধ

(৩৪)সকলেই দণ্ডকে ভয় করে, জীবন সকলের প্রিয়। সুতরাং নিজের সাথে তুলনা করে কাকেও প্রহার করবে না কিংবা আঘাত করবে না –গৌতম বুদ্ধ

(৩৫)মৈত্রী দ্বারা ক্রোধকে জয় করবে, সাধুতার দ্বারা অসাধুকে জয় করবে, ত্যাগের দ্বারা ক্রোধকে জয় করবে ও সত্যের দ্বারা মিথ্যাকে জয় করবে –গৌতম বুদ্ধ

(৩৬)লোভী ও অহংকারী মানুষকে বিধাতা সবচাইতে বেশী ঘৃণা করে –জন রে

উপরে আপনাদের জন্য কিছু জনপ্রিয়  উপদেশমুলক উক্তি বাণী শেয়ার করলাম। সামনে অন্য কোনো বিষয়ে উক্তি শেয়ার করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ

Bangla Quote